উইম্বলডনে প্রথম ম্যাচ হেরে বিদায় নিলেও কোটিপতি

উইম্বলডনের গত আসরে ছেলেদের এককে চ্যাম্পিয়ন হন কার্লোস আলকারাজরয়টার্স

উইম্বলনডন চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে ৩০ জুন। টেনিসের এই গ্র্যান্ড স্লাম সামনে রেখে প্রাইজমানির অঙ্ক গতবারের তুলনায় ৭ শতাংশ বাড়িয়েছেন আয়োজকেরা, যা এক দশক আগের প্রাইজমানির তুলনায় দ্বিগুণ। এবার চ্যাম্পিয়নশিপে মোট প্রাইজমানির অঙ্ক ৫ কোটি ৩৫ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা)।

আরও পড়ুন

একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রাইজমানি এবারই প্রথম ৩০ লাখ পাউন্ডের (প্রায় ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা) সীমানা পেরিয়ে যাবে। উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) আজ এ খবর জানিয়েছে।

উইম্বলডনে একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি হিসেবে পাবেন ৩০ লাখ পাউন্ড, যা সব কটি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর উইম্বলডনে একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রাইজমানির তুলনায় এবার ১১.১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। শুধু ছেলে ও মেয়েদের একক ইভেন্টে বিজয়ীরাই নন, প্রথম রাউন্ডে যাঁরা হেরে যাবেন, তাঁদের জন্যও থাকছে লোভনীয় অঙ্কের প্রাইজমানি।

একক ইভেন্টের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিলেও প্রাইজমানি হিসেবে মিলবে ৬৬ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ টাকা)। গত বছরের তুলনায় যা ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে আর ১৯৮০ সালে বিয়ন বোর্গ উইম্বলডন জিতে যে প্রাইজমানি পেয়েছিলেন, সে তুলনায় এই অঙ্ক তিন গুণের বেশি।

আরও পড়ুন

গত এক দশকে উইম্বলডনের মোট প্রাইজমানি দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার প্রাইজমানির অঙ্ক ৭ শতাংশ বাড়ানো হলেও ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে বাড়ানো হারের (১১.৯ শতাংশ) তুলনায় কম। দ্বৈত ইভেন্টে প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে ৪.৪ শতাংশ, মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে ৪.৩ শতাংশ এবং হুইলচেয়ার ও কোয়াড হুইলচেয়ার ইভেন্টে প্রাইজমানির অঙ্ক ৫.৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানায়, প্যারিসে ৮ জুন শেষ হওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেন চলাকালে একটি বৈঠকের পর উইম্বলডনের প্রাইজমানি বাড়ানো হয়। গ্র্যান্ড স্লামের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ও শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উইম্বলডনের প্রধান নির্বাহী স্যালি বোল্টনও উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়েরা বেশ আগে থেকে চার গ্র্যান্ড স্লামেই (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন) প্রাইজমানির অঙ্ক বাড়ানোর দাবি তুলেছেন এবং বৈঠকটি ছিল এ নিয়েই।

এইএলটিসির চেয়ারম্যান ডেবি জিভান্স বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের কথা শুনেছি। আমরা তাদের সঙ্গেই আছি। তবে শুধু চারটি গ্র্যান্ড স্লামে প্রাইজমানি বাড়ানোয় মনোযোগী হলে সেটার মাধ্যমে টেনিসের মূল চ্যালেঞ্জে পৌঁছানো যায় না। টেনিসের মূল চ্যালেঞ্জ হলো খেলোয়াড়দের অফ সিজন বলে কিছু নেই, যেটা তারা চায়। চোটের পরিমাণ বাড়ছে এবং তারা এটা নিয়ে সোচ্চারও হয়েছে।’