এই তো সেই নাদাল!
ফর্ম ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মান চিরস্থায়ী। বাণী চিরন্তণীটা আবার মনে করিয়ে দিলেন রাফায়েল নাদাল। দেখিয়ে দিলেন ফর্মে ফিরলে প্রতিপক্ষ হিসেবে তিনি কতটা ভয়ংকর। নেটের অপর প্রান্ত থেকে তাঁর সে রূপ পরশু দেখলেন অ্যান্ডি মারে। ম্যাচ শেষে একটা দরাজ সনদও দিয়ে দিলেন নাদালকে, ‘কয়েক মাস আগে সে যেমন খেলত, তার চেয়ে এখন অনেক বেশি ভালো খেলে।’
রাফায়েল নাদাল ভালো যে খেলছেন, টানা দুটি জয়ই তার প্রমাণ। ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে আগের ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কাকে হারিয়েছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় ম্যাচে শিকার মারে, জিতলেন ৬-৪, ৬-১ গেমে জয়ী। এই জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠে গেলেন নাদাল।
অথচ র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট তারকার এই টুর্নামেন্টে নাদাল শেষ চারে উঠবেন—শুরুর আগে জোর দিয়ে এমনটা বলার লোক খুব কমই ছিল। মৌসুমটা খুবই বাজে কেটেছে নাদালের। শুধু ২০১৫ সালেই হেরেছেন ১৯টি ম্যাচ। এই বাজে ফর্ম তাঁকে নামিয়ে দিয়েছিল র্যাঙ্কিংয়ের দশে, দশ বছরের মধ্যে যেটি তাঁর সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং। ২০০৪ সালের পর এবারই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাশূন্য একটা মৌসুম গেছে ১৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের। অবশেষে বছরের শেষ দিকে এসে ফর্মে ফিরতে শুরু করেছেন, টুর্নামেন্টটি শুরু করেছেন র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে থেকে।
পরশু হারের পর মারে তো নাদালকে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিটই বলে দিলেন। নাদাল কী বলেন? টুর্নামেন্টের শিরোপা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চান না সাবেক এক নম্বর, বললেন শুধু নিজের জয় নিয়েই, ‘এই জয়টি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার জন্য এটি বড় একটা দিন। বড় খেলোয়াড়ের বিপক্ষে জয়, সেটিও কঠিন কোর্টে।’ এএফপি, এটিপি।