করোনার টিকার ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলেছেন জোকোভিচ

উইম্বলডনের প্রস্তুতি চলছে নোভাক জোকোভিচেরছবি: রয়টার্স

করোনার টিকা না নেওয়া, সেটি নিয়ে মিথ্যাচার...কত নাটকের পর শেষ পর্যন্ত এ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হয়নি নোভাক জোকোভিচের। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দেখাদেখি তখন ফ্রেঞ্চ ওপেনও জানিয়ে দেয়, করোনার টিকা না নিলে সার্বিয়ান টেনিস তারকাকে ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলতে দেওয়া হবে না, এরপর জোকোভিচ খেলেননি।

উইম্বলডনে সে ঝামেলা নেই, স্বাস্থ্যবিষয়ক অন্য শর্তাদি পূরণ হওয়ায় টিকা না নিয়েও সেখানে খেলতে পারবেন জোকোভিচ। তবে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া উইম্বলডনে নামার আগেই বছরের আরেক গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনে তাঁর খেলা নিয়ে শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ। টিকা না নিলে ইউএস ওপেনে খেলা যাবে না, এমন শর্ত সামনে রেখেও জোকোভিচ জানিয়ে দিয়েছেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারটা আর মাথায়ই আনেন না তিনি! ইউএস ওপেনে খেলতে পারবেন না মেনে নিয়েই উইম্বলডনে এবার সবকিছু দিয়ে ঝাঁপানোর প্রতিশ্রুতি জোকোভিচের।

আরও পড়ুন

এক করোনার টিকা না নেওয়ায় কত ঝামেলা হয়ে গেল জোকোভিচের! অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সম্ভাবনার দৌড়ে তিনিই এগিয়ে ছিলেন, জিতলে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে ছাপিয়ে তিনিই প্রথম ২১ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হতেন। কিন্তু টিকা নিয়ে নাটকে জোকোভিচের খেলা হয়নি, সুযোগে নাদাল শিরোপা জিতে গ্র্যান্ড স্লাম বাড়িয়ে নিয়ে গেলেন ২১-এ। এরপর ফ্রেঞ্চ ওপেনেও শিরোপা জিতে নাদালের গ্র্যান্ড স্লাম এখন ২২টি।

আরও পড়ুন

কিন্তু পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে করোনার টিকা না নিলে আগামী বছরের ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে এবারের উইম্বলডন ছাড়া আর কোনো গ্র্যান্ড স্লামে খেলা হবে না জোকোভিচের। কিন্তু তাতেও টিকা নেওয়ার ব্যাপারে রাজি নন ‘জোকার’। এটিকেই বরং প্রেরণা বানিয়ে নিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী সার্বিয়ান। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জোকোভিচ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত যা নিয়ম, তাতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারব না। সেটা জানি। সেটাই বরং এখানে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আশা অবশ্য এখনো একেবারে ছেড়ে দেননি জোকোভিচ, ‘আশা করি, এখানে ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটবে, যেমনটা এর আগের তিন সংস্করণেও কেটেছে। এরপর অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আমি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে সে সুযোগ নেই।’

আরও পড়ুন
সর্বশেষ তিন উইম্বলডনই শেষ হয়ে জোকোভিচের হাতে ট্রফির ছবি দেখে
ছবি: রয়টার্স

সুযোগ নেই, এ কথাটা অবশ্য ঠিক নয়। সহজেই সুযোগটা হতে পারে জোকোভিচের, তবে সে জন্য তাঁকে টিকা নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তাই তাঁর কাছে প্রশ্ন হলো, ‘ইউএস ওপেনের ক্ষেত্রে আপনি বললেন যে সেখানে আর কিছু করার নেই। কিন্তু নিউইয়র্কের আগে তো এখনো টিকা নেওয়ার যথেষ্ট সময় আছে আপনার হাতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারেন। আপনি কি এই ব্যাপারটা নিয়ে (টিকা নেওয়া) পুরোপুরি ভাবনা বন্ধ করে দিয়েছেন, নাকি...’

আরও পড়ুন

সাংবাদিকের এই প্রশ্ন এতটুকুতেই থামিয়ে দেন জোকোভিচ। এক শব্দে তাঁর উত্তর, ‘হ্যাঁ!’

করোনার শুরু থেকেই টিকার ব্যাপারে অনাগ্রহ ছিল জোকোভিচের। যে কারণে তাঁকে টিকাবিরোধীও বলা হয়েছে। এখন এত দুর্ভোগ সয়েও টিকা না নেওয়ার ব্যাপারে জোকোভিচের অনড় অবস্থান হয়তো সমালোচনা আরও বাড়াবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন