কেউ 'হাঁচি-কাশি' দিলেই ভয় পেয়ে যান সেরেনা

সেরেনা ও তার মেয়ে। করোনার ভয়াল থাবা তখনো আসেনি। ছবি : এএফপি
সেরেনা ও তার মেয়ে। করোনার ভয়াল থাবা তখনো আসেনি। ছবি : এএফপি
>

২ বছরের শিশু অলিম্পিয়াকে নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত সময় কাটছে সেরেনা উইলিয়ামসের। কেউ হাঁচি-কাশি দিলেই তিনি ভয় পেয়ে যান

সারাক্ষণই এক ধরনের শঙ্কায় থাকছেন টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস। সেই শঙ্কা, যেটি এখন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা দুনিয়াকেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পৃথিবীব্যাপী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। স্থবির হয়ে গেছে সব কার্যক্রম। খেলার দুনিয়াও তো এর বাইরে নয়। বন্ধ হয়ে গেছে সব খেলা। নিজেদের বাড়িতে খেলার বড় বড় সব তারকারা এখন রীতিমতো বন্দী জীবনযাপন করছেন। কিন্তু করোনা-শঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না তাদের। সেরেনা যেমন, আশপাশের কেউ হাঁচি-কাশি দিলেই শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

করোনার কারণে স্বেচ্ছাবন্দী রেখেছেন নিজেকে। সঙ্গে তাঁর দুই বছরের সন্তান। মূল শঙ্কাটা বাচ্চাটাকে নিয়েই। মায়ের মন তো! চারদিকে এত মৃত্যু, এত সংক্রমণ, সেরেনা বাচ্চা নিয়ে ঠিক থাকেন কীভাবে?

রোববার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন সেরেনা। সেখানে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘দুই সপ্তাহ হলো ঘরে বসে আছি। সঙ্গে আমার মেয়ে অলিম্পিয়া। কিন্তু মন থেকে শঙ্কা কিছুতেই দূর করতে পারছি না। বারবার মনে হচ্ছে, আমার বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে পড়বে না তো! বাচ্চাটার মধ্যে কোনো সংক্রমণ হলো না তো!’

২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী এই তারকার সামনে কেউ হাঁচি দিলেই এখন ভয় লাগে, ‘আমি নিয়ম মেনে চলছি। কিন্তু আমার সামনে যদি হাঁচি বা কাশি দিয়ে ফেলে, তাহলেই ভয় লাগে। আতঙ্ক বোধ করছি রীতিমতো। বাচ্চাকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছি না। এমনকি ছোট্ট অলিম্পিয়া হাঁচি, কাশি দিলেও ওর দিকে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছি। সে বুঝতে পারছে, মা রেগে যাচ্ছে, তখন খুব খারাপ লাগে।’

এভাবে কত দিন চলবে, সেটা বুঝতে পারছেন না সেরেনা। তবে প্রথম প্রথম খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যে কিছুটা খুশিই হয়েছিলেন, সেটা সরল মনে স্বীকারও করেছেন এই টেনিস তারকা, ‘প্রথমে যখন ইন্ডিয়ান ওয়েলস প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গেল, তখন অস্বীকার করব না, মনে মনে কিছুটা খুশিই হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, কিছুটা বিশ্রাম পাওয়া গেল। করোনাভাইরাস খুব গুরুতর কিছু হবে না, এমনটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু আমার সব ভাবনা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন রীতিমতো একঘেয়ে লাগছে। আবার কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে জানি না। সত্যিই ভয় পাচ্ছি। ’