টয়লেটে যেতে মানা, আরেকটু হলেই কেলেঙ্কারি হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে

চেক প্রজাতন্ত্রের টেনিস তারকা দেনিস শাপোভালভছবি: টুইটার

বেচারা দেনিস শাপোভালভ! আরেকটু হলে কাপড়চোপড়েই...।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আজ দ্বিতীয় রাউন্ডে ইয়ানিক সিন্নারকে হারান র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২তম এ টেনিস তারকা। এই ম্যাচ জিততে তাঁকে শুধু প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই লড়াই করতে হয়নি, বরং শরীরের প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্মের বিশেষ এক স্রোত জোর করে থামিয়ে লড়তে হয়েছে কোর্টে।

ম্যাচের ফল নির্ধারণকারী পঞ্চম সেটের আগে শাপোভালভ আর থাকতে পারেননি। কোর্টে আম্পায়ারকে বলেছিলেন, টয়লেটে যাওয়া দরকার।

জার্মান আম্পায়ার নিকো হেলওয়ার্থ পাত্তা দেননি। আর যায় কোথায়! রেগে কাই হয়ে গিয়েছিলেন কানাডিয়ান এই ১১তম বাছাই।

মার্গারেট কোর্ট অ্যারেনায় এ ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনুরোধ করেও আম্পায়ারের মন গলাতে পারেননি শাপোভালভ।

শেষে না পেরে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে আম্পায়ারকে বলেছেন, ‘(টয়লেট) গেলে কী হবে? জরিমানা হবে? হোক।’ আরেকবার বলেছেন, ‘যেতে পারব না—এর মানে কী? আপনি কি আমাকে (ম্যাচ থেকে) বের করে দেবেন? আমাকে প্রস্রাব করবে হবে। নইলে প্যান্টেই (শর্টস) করে ফেলব, কিংবা বোতলে। একজন খেলোয়াড়কে আপনারা প্রস্রাব করতে দেবেন না? এই নিয়মের কী মানে?’

টুর্নামেন্টের পাঁচ সেটের ম্যাচে দুবার করে টয়লেটে যাওয়ার বিরতি পেয়ে থাকেন খেলোয়াড়েরা। সেটের ফাঁকে এ বিরতি দেওয়া হয়।

সংবাদকর্মীদের শাপোভালভ বলেন, প্রস্রাবে আরেকটু হলে তাঁর ‘পেট ফেটে যেত। আমার কাছে মনে হয় এটা নির্বোধসূচক আইন। বিশেষ করে আমার জন্য। কারণ, দুনিয়ার সবচেয়ে ছোট মূত্রথলিটা আমার। প্রায় প্রতিটি সেটের পরই যেতে হয়। তাই অনেকক্ষণ কোর্টে থাকলে সেটা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়। ম্যাচ শুরুর আগে আমি যতটা সম্ভব পানি খাই...অবশ্যই এটা তো আর আম্পায়ারের দোষ নয়।’

সিন্নারকে ৩-৬, ৬-৩, ৬-২, ৪-৬, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দেন শাপোভালভ। তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বার্নার্ড টমিকের মুখোমুখি হবেন শাপোভালভ।