ফ্রেঞ্চ ওপেনে দর্শক নিয়ে শঙ্কায় নাদাল

রোম মাস্টার্সে খেলছেন রাফায়েল নাদাল।ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জানুয়ারিতেই হয়ে গেছে। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে দর্শকহীন গ্যালারিতে গত পরশু শেষ হলো ইউএস ওপেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারি কেড়ে নিয়েছে এবারের উইম্বলডন। পিছিয়ে যাওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর। আয়োজকেরা দর্শক নিয়েই আয়োজন করতে চায় এই গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টটি। তবে ইউএস ওপেন না খেলা রাফায়েল নাদালসহ আরও অনেকেই দর্শকের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে খানিকটা উদ্বিগ্ন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন একটি শব্দবন্ধ তৈরি হয়েছে—নতুন স্বাভাবিক। এই নতুন স্বাভাবিক নিয়ম মেনে বিভিন্ন খেলা এখন দর্শকহীন স্টেডিয়ামেই হচ্ছে। কিন্তু ফ্রেঞ্চ ওপেনে থাকবে দর্শক। এটা বাড়িয়ে দিতে পারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। গ্র্যান্ড স্লামে রজার ফেদেরারের ২০টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার অভিযানে নামতে চলা নাদাল বলেছেন, ‘আমি ঠিক জানি না কী হবে। রোলাঁ গারোর পরিস্থিতি কী হবে সেটাও আমি জানি না।’

১৯টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার মালিক নাদাল ফ্রেঞ্চ ওপেনে তাঁর ১৩তম শিরোপা জিততে নামবেন। এর আগে রোমের ক্লে কোর্টে খেলে ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে। করোনা মহামারির কারণে বিরতিতে চলে যাওয়া নাদাল রোম মাস্টার্স দিয়েই ছয় মাসের মধ্যে প্রথম টেনিস খেলতে নামবেন। এই টুর্নামেন্টে খেলতে নামার আগে ৩৪ বছর বয়সী নাদাল বলেছেন, ‘দেখি আগামী দুই সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। আশা করি ভালোর দিকেই যাবে।’

ছয় মাসের মধ্যে প্রথম টেনিস খেলছেন নাদাল রোম মাস্টার্সে।
ছবি: রয়টার্স
দেখি আগামী দুই সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। আশা করি ভালোর দিকেই যাবে
রাফায়েল নাদাল

তবে সবাইকে ধৈর্য ধরতেও বলেছেন নাদাল। মেয়েদের শীর্ষ বাছাই ও ২০১৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী সিমোনা হালেপও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে আছেন, ‘আশা করছি নিয়মকানুন খুব কঠিন হবে। আমি পত্রিকায় পড়েছি ফ্রেঞ্চ ওপেনে দর্শক থাকবে। যারা জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকবে না এমন দর্শক বা মানুষের সঙ্গে মিশতে পারব না আমরা। আশা করছি জৈব-সুরক্ষা বলয়ের বাইরের লোকেরা আলাদাই থাকবে।’

বাজে কিছু হবে না—এমনটাই আশা করছেন হালেপ, ‘আশা করছি আমরা নিরাপদ থাকব।’ ফ্রেঞ্চ ওপেন মূলত হওয়ার কথা ছিল মে মাসে। পিছিয়ে এটা এখন শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। রোলাঁ গারোতে প্রতিদিন টুর্নামেন্টটি দেখতে ১১ হাজার ৫০০ দর্শক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।