ফ্রেঞ্চ ওপেনে সংবাদ সম্মেলনের আরেক ‘শিকার’ কেভিতোভা

সংবাদ সম্মেলনে এসে গোঁড়ালিতে চোট কেভিতোভারছবি: টুইটার

সংবাদ সম্মেলন নিয়ে কী শুরু হলো ফ্রেঞ্চ ওপেনে? ম্যাচ শেষে প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনে না আসার কারণে শাস্তির মুখে পড়ার হুমকিতে টুর্নামেন্ট থেকেই সরে গেছেন অন্যতম ফেবারিট নাওমি ওসাকা। জাপানি তারকার পর এবার সংবাদ সম্মেলনই আবার গোল বাধিয়েছে মর্যাদাকর এ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে।

এবার সংবাদ সম্মেলনের ‘শিকার’ পেত্রা কেভিতোভা। চেক প্রজাতন্ত্রের এই টেনিস তারকার কারণটা অবশ্য বেশ অদ্ভুত। তিনি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতেই গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ম্যাচে বেশ লড়াই করেই ৬-৭ (৬-৩), ৭-৬ (৭-৫), ৬০১ গেমে হারান বেলজিয়ামের গ্রিট মিনেনকে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে এসেই পা হড়কে পড়ে যান তিনি। এতে গোড়ালিতে নাকি গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি।

টুইটারে পেত্রা কেভিতোভা লিখেছেন, ‘বেশ হতাশা নিয়েই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। রোববার সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে আমি পড়ে যাই আর গোড়ালিতে গুরুতর আঘাত পাই। এমআরআই করার পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফ্রেঞ্চ ওপেনে না খেলার। সিদ্ধান্তটা কঠিনই ছিল। আমি এখন মন শক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে কোর্টের লড়াইয়ে ফেরত আসতে চাই।’

জিতেও ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে সরে দাঁড়াতে হলো কেভিতোভার।
ছবি: রয়টার্স

এর আগে ওসাকাও এমন একটা টুইট করে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে টুর্নামেন্ট, অন্য খেলোয়াড় ও আমার নিজের ভালোর জন্যই সরে দাঁড়ানো উচিত। প্যারিসে এখন সবাই টেনিসেই মনোযোগ দিতে পারবেন। আমি কখনোই ঝামেলা হয়ে থাকতে চাইনি। আমি মনে করি, ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার করে বোঝাতে পারতাম। সত্যি কথা হলো, আমি ২০১৮ সালের ইউএস ওপেন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছি।’

সংবাদ সম্মেলনের আরেক ‘শিকার’ কেভিতোভা
ছবি: রয়টার্স

প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জেতার পর টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলতে যাননি। সম্প্রচার সংস্থা সেটি মানবে কেন! আয়োজক কমিটি এ জন্য ওসাকাকে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করে বহিষ্কারের হুমকি দেয়। টুর্নামেন্ট কমিটির দাবি ছিল, প্রতিটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেটি মানতে পারেননি ওসাকা।

ঘটনা যা-ই হোক, ওসাকার ব্যাপারটি ফ্রেঞ্চ ওপেনকে কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন ওসাকার পর কেভিতোভার সরে যাওয়া মেয়েদের টেনিসের জৌলুশ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।