‘১০০০ ম্যাচ জয় তো বিশেষ কিছুই’

হাজারতম জয়ের পর রাফায়েল নাদাল। কাল প্যারিস মাস্টার্সে।ছবি: এএফপি

গত মাসে প্যারিসে ফ্রেঞ্চ ওপেনটা জিতেই পুরুষ টেনিসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডে রজার ফেদেরারের পাশে বসেছেন রাফায়েল নাদাল। স্প্যানিশ তারকা এবার সেই প্যারিসেই ছুঁলেন আরেকটি জাদুকরি সংখ্যা। টেনিস ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০তম ম্যাচ জিতেছেন লাল দুর্গের রাজা।

কাল প্যারিস মাস্টার্সের দ্বিতীয় রাউন্ডে স্বদেশি ফেলিসিয়ানো লোপেজকে ৪-৬, ৭-৬ (৭/৫), ৬-৪ গেমে হারিয়ে হাজার সংখ্যাটি ছুঁয়েছেন নাদাল। কিন্তু সেই ইতিহাস গড়া মুহূর্তটিতে কী অখণ্ড নীরবতা রইল কোর্ট ঘিরে। হার্ড কোর্টের প্যারিস মাস্টার্সটা যে হচ্ছে দর্শকশূন্য গ্যালারিকে সাক্ষী রেখে।

উপলক্ষটা নাদালের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন শুধু লোপেজ। সেটিও অবশ্য প্রতি ম্যাচ শেষেই করে থাকেন প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়েরা। নাদাল ম্যাচ পয়েন্টটা পেয়ে যেতেই নেটের দিকে এগিয়ে এলেন লোপেজ। চিরাচরিত করমর্দন না করে কবজির সঙ্গে কবজি মিলিয়েই অভিনন্দন পর্বটা সারেন লোপেজ।

এত বড় এক অর্জন, কিন্তু সেটির সাক্ষী হতে উপস্থিত নেই কেউ—পুরো ব্যাপারটিই একটু অন্য রকম মনে হয়েছে নাদালের কাছে। ম্যাচ শেষে ২০টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক বললেন সেটিই, ‘আসল অনুভূতি, ব্যক্তিগত অনুভূতি পুরোপুরিই অন্য রকম। শূন্য কোর্টে খেলাটা বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি জানি এক হাজার বিশেষ এক সংখ্যা। দর্শকশূন্য মাঠে উদ্‌যাপনটা ভিন্ন হলেও এটি বিশেষ কিছুই।’

পুরুষ টেনিসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়

৩৪ বছর বয়সী নাদাল যে মাইলফলকটি ছুঁয়েছেন সেটি এর আগে পেরিয়েছেন জিম কনর্স, ইভান লেন্ডল ও রজার ফেদেরারের মতো টেনিস কিংবদন্তিরা। জিম কনর্স জিতেছেন সবচেয়ে বেশি ১২৭৪টি ম্যাচ। ফেদেরার জিতেছেন ১২৪২টি ম্যাচ, লেন্ডল ১০৬৮টি।

হাজারতম ম্যাচটি জেতার পর কাল জালের সামনে ১০০০ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ছবি তুলেছেন নাদাল। উদ্‌যাপন বলতে এতটুকুই। এরপর অন্যান্য সাধারণ ম্যাচের মতোই মাঠ ছেড়ে যান নাদাল।

গত মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনটা নাদাল জিতেছিলেন রোলাঁ গারোতে। হাজারতম জয়ের মাইলফলকটা নাদাল ছুঁলেন প্যারিসের বের্সি অ্যারেনাতে। রোলাঁ গারোতে নাদাল ফেদেরারের রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন হাজারখানেক দর্শক সামনে রেখে।

নাদাল পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচটি জিতেছিলেন ২০০২ সালের মে মাসে। মায়োর্কায় ১৫ বছর বয়সী নাদাল হারিয়েছিলেন প্যারাগুয়ের রামোন দেলগাদোকে। বছরখানেক পরে মন্টো কার্লো মাস্টার্সের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সে সময়ের চ্যাম্পিয়ন আলবার্ট কস্তাকে হারিয়ে হইচই ফেলেন নাদাল। দুবছর পর প্রথমবার ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলতে নেমে তো চ্যাম্পিয়নই হয়ে যান নাদাল।

নাদালের কাছে বেশি হেরেছেন যারা