মোহনবাগানকে হারানোর পর স্বপ্ন দেখতেই পারে কিংস

বসুন্ধরা কিংস হারাল ভারতের মোহনবাগানকেছবি: বাফুফে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কিংসের প্রমাণ করার আর কিছু নেই। অনেক আগেই তারা লক্ষ্য বানিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলকে। ২০২০ সাল থেকে এএফসি কাপে খেললেও এ পর্যায়ে নিজেদের শক্ত জমির ওপর দাঁড় করাতে পারছিল না কিংস। এএফসি কাপের এবারের মৌসুমে সেই সুযোগ এসেছে কিংসের সামনে। আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে নিজেদের জায়গাটা শক্ত করে নেওয়ার সেই সুযোগ।

গতকাল কিংস অ্যারেনায় মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে ২–১ গোলের দারুণ জয়ের পর কোচ অস্কার ব্রুজোন সেটিই বললেন, ‘আমি চাইছিলাম আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে কিংস একটা জায়গা যেন করে নিতে পারে। আজ মোহনবাগানকে হারিয়ে আমার দলের খেলোয়াড়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে যে ওরা মোহনবাগানের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।’

মোহনবাগানকে দুর্দান্ত খেলেই হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস
ছবি: বাফুফে

মোহনবাগানকে হারিয়ে এ মুহূর্তে গ্রুপ ‘ডি’র শীর্ষে উঠে এসেছে কিংস। যদিও মোহনবাগানের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট সমান—৭, কিন্তু মোহনবাগানের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ের কারণে কিংসই এখন শীর্ষে। গ্রুপে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি, যার একটি ঘরের মাঠে। কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব আর ভূবনেশ্বরে ওডিশা এফসির বিপক্ষে জিতলেই এবারের এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনাল পর্বে জায়গা করে নেবে কিংস।

কালকের ম্যাচের পর কিংসের আক্ষেপও থাকবে। গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মাজিয়ার কাছে হারটা ছিল অপ্রত্যাশিতই। মালেতে প্রায় একতরফা খেলেও মাজিয়ার কাছে ৩–১ গোলে হেরে এসেছিল কিংস। যদিও ওডিশা এফসির বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছিল ৩–১ গোলে। মোহনবাগানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটিতেও হারেনি কিংস। ২–২ গোলে ড্র করে ফিরেছিল। কাল মোহনবাগানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের জয়টা তাই আক্ষেপ বাড়াবেই। মাজিয়ার বিপক্ষে জেতার দলই ছিল কিংস। ম্যাচটা জিতলে আজ দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহনবাগানের সঙ্গে একটা ব্যবধান তো তৈরি করা যেতই।

এবার কিংসের চোখ এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে
ছবি: বাফুফে

যা–ই হোক, আপাতত মোহনবাগানের বিপক্ষে জয়টা উদযাপনই করতে চান কোচ ব্রুজোন। জয়ের সব কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের। আনন্দটা আরও বেশি জয়টা ভারতের সেরা ক্লাবের বিপক্ষে আসায় ‘আমার ছেলেরা আজ দুর্দান্ত খেলেছে। ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই–ই ছিল। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত জিতেছি। এটা বাংলাদেশ-ভারত লড়াই ছিল। ভারতীয় ক্লাবের বিপক্ষে জেতাটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্যও দারুণ। খেলোয়াড়েরা এতটাই উজ্জীবিত ছিল যে তারা আমাকে কোনো বদলিই নামাতে দেয়নি। আমার জীবনে এমন ঘটনা এই প্রথম।’