এভাবেও ফিরে আসা যায়

২০২৫ নারী ইউরোজয়ী ইংল্যান্ড দল

খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।

হার দিয়ে শুরু, চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ—ইংল্যান্ডের নারী ইউরো জয়ের পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না এবার। নকআউট পর্বে তো প্রতিটি ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল দলটি। আর তাতে বিরল কীর্তিতেও নাম উঠে গেছে দলটির। ফুটবল ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় দল ইংল্যান্ড, যারা নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ার পর শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

প্রথম দলটিও একটি নারী দল, আর সেই টুর্নামেন্টও ছিল মহাদেশীয়। ২০২২ সালে নারী এশিয়ান কাপে চীনের শিরোপা জয়ের পথটাই যেন ছিল একটানা নাটকীয়তা আর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প। কোয়ার্টার ফাইনালে ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল তারা, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতে ৩-১ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে জাপানের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়ে দুবারই সমতায় ফেরে চীন, দ্বিতীয় গোলটি আসে ১১৯তম মিনিটে। টাইব্রেকারে গিয়েও দশম ও শেষ শটের আগে তারা একবারের জন্যও এগিয়ে ছিল না।

তবে ফাইনালে সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল চীন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথেও একই স্কোরলাইন। এরপর ট্যাং জিয়ালির পেনাল্টি থেকে আসে এক গোল, ৭২তম মিনিটে ঝাং লিনইয়ান সমতায় ফেরান দলকে। আর অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শিয়াও ইউইয়ের গোলে লেখা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তনের অন্যতম সেরা গল্প।

২০২২ সালে মেয়েদের এশিয়ান কাপজয়ী চীন
এএফপি

ইংল্যান্ডের গল্পটাও কম রোমাঞ্চকর নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইংলিশরা। এরপর ৩ মিনিটের মধ্যে ২ গোল করে ম্যাচটিকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যাওয়ার পর টাইব্রেকারে জেতে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ৩৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে। এরপর অতিরিক্ত সময়ের শেষ সময়ে (১১৯ মিনিটে) ক্লোয়ি কেলির গোলে জিতেই যায় দলটি। ফাইনালে স্পেন এগিয়ে যায় ২৫ মিনিটে। ইংল্যান্ড সমতায় ফেরে ৫৭ মিনিটে। এরপর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জিতে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড।

আরও পড়ুন