আবাহনীতে ইরাকি ফুটবলার

অনেক দিন পর ইরাকি ফুটবলার আনল আবাহনী। নিবন্ধন করানো হলে ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার মোহাম্মেদ বাশার আলনিমা হবেন আকাশি-নীল দলের পঞ্চম ইরাকি ফুটবলার।
আবাহনী প্রথম ইরাকি ফুটবলার আনে ১৯৮৭ সালে। ’৮৬ বিশ্বকাপ খেলে এসে আবাহনীর জার্সি গায়ে ঢাকার ফুটবল মাতিয়েছিলেন সামির শাকির ও করিম মোহাম্মদ আলভী। পরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচও হয়েছিলেন সামির। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফ গেমসে বাংলাদেশকে সোনা জেতান তিনি। তারপর নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগে আসেন নজর আলী ও জসিম মেহেদি।
বর্তমানে সৌদি আরবে থাকা বাশার কখনো সামির শাকিরকে দেখেননি, তবে নাম শুনেছেন। সামির বর্তমানে সৌদি আরবে আছেন। পূর্বসূরিদের আকাশি-নীল জার্সি গায়ে উজ্জ্বল সেই সময়টার কথা ঢাকায় এসে জেনেছেন লম্বা ছিপছিপে তরুণ, যদিও আবাহনী তাঁকে নিবন্ধন করানোর ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস আরেকটু অপেক্ষা করতে চান, ‘অনুশীলনে মোটামুটি ভালোই করছে বাশার। সব বিদেশিকে দেখে তারপরই ওকে নিবন্ধন করানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’
বাশার বাগদাদের প্রিমিয়ার বিভাগের দল সালাহ আলদিনে গত দুই মৌসুমে গোটা বিশেক গোল করেছেন। খেলেছেন ক্রোয়েশিয়া, সিরিয়ায়। মা সিরিয়ান, বাবা ইরাকি। জন্ম সিরিয়ায় হলেও বাবা ইরাকি হওয়ায় ইরাকি পাসপোর্টই নিয়েছেন বাশার। আবাহনীর জার্সি গায়ে একজন ‘লড়াকু ইরাকি’ হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরতে চান ঢাকার মাঠে।
শেখ রাসেলে জ্যামাইকান: এই প্রথম বাংলাদেশে খেলতে এলেন একজন জ্যামাইকান ফুটবলার। রিকার্ডো কাজিনস নামের মাঝমাঠের এই খেলোয়াড়কে এনেছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, যিনি জ্যামাইকার জাতীয় দলের হয়ে নাকি চারটি ম্যাচ খেলেছেন। জ্যামাইকা ও সুইডেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা কাজিনসকে নিয়ে বেশ আশাবাদী শেখ রাসেল।