উয়েফাকে নিয়ে 'মুখ খারাপ' নেইমারের

পার্ক দে প্রিন্সেসের গ্যালারিতে নেইমার। ছবি: এএফপি
পার্ক দে প্রিন্সেসের গ্যালারিতে নেইমার। ছবি: এএফপি
>চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়েছে পিএসজি। কাল ফিরতি লেগে পিএসজির বিপক্ষে একটি পেনাল্টি নিয়ে ভীষণ চটেছেন নেইমার

চোট তাঁকে মাঠ থেকে ছিটকে ফেলেছে বেশ আগেই। কিন্তু দলের খেলা বলেই কাল নেইমারকে দেখা গেল পার্ক দে প্রিন্সেসের ভিআইপি গ্যালারিতে। হাসিমুখ নিয়ে অবশ্য ফিরতে পারেননি। উল্টো মেজাজ হারিয়ে উয়েফাকে এক হাত নিয়েছেন পিএসজির এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। রীতিমতো মুখ খারাপ করে গালি দিয়েছেন তিনি।

নেইমারের মেজাজ হারানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগ ২-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি। একে তো প্রতিপক্ষের মাঠে জয়, সঙ্গে ‘অ্যাওয়ে গোল’-এর সুবিধা—ফিরতি লেগের আগেই অনেকে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখেছেন পিএসজিকে। কিন্তু কে জানত, পিএসজিকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ফেলবে ইউনাইটেড এবং সেটি তাঁদের-ই ঘরের মাঠে! কাল ঠিক এই কাণ্ড-ই ঘটেছে পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে। সেখানে ফিরতি লেগে ৩-১ গোলের জয়ে শেষ আটে উঠেছে ইউনাইটেড, আর পিএসজিকে বিদায় নিতে হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। এতে নেইমারের মাথা ঠিক থাকে কীভাবে!

দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচটি ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত থাকলেও শ্রেয়তর ‘অ্যাওয়ে গোল’ সুবিধায় শেষ আটে পৌঁছেছে ইউনাইটেড। আর ইউনাইটেড সেটি পেয়েছে ম্যাচের যোগ করা সময়ে চার মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে। ইউনাইটেড বক্সের একটু বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন ইউনাইটেড ডিফেন্ডার ডিয়োগো দালত। বক্সের ভেতরে বেশ লাফিয়ে উঠে বলটি ঠেকানোর চেষ্টা করেন পিএসজি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমপেবে। পেছনের দিক মুখ করে লাফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। অনিচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর পেছনে হাত ছুঁয়ে চলে যায় বল। ইউনাইটেড পেনাল্টির আবেদন করলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন মাঠের রেফারি। মার্কাস রাশফোর্ড স্পটকিক থেকে ইউনাইটেডকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন।

বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে রাশফোর্ডের ওই গোলেই হার নিশ্চিত হয় পিএসজির। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সেই হ্যান্ডবলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে নেইমার লেখেন, ‘এটা লজ্জার। উয়েফা এখনো চার ব্যক্তির ওপর দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছে যারা ফুটবল ও ভিএআর রিভিউ নিয়ে কিছুই জানে না। এটি হ্যান্ডবল না। পেছনে হ্যান্ডবল হয় কীভাবে? যাও, দূরে গিয়ে মরো।’