এক ম্যাচে ব্যাট করলেন 'চার ইনিংস'!

এক ইনিংসেই তিনবার ‘জীবন’ পেয়েছেন সিমন্স। ছবি: এএফপি
এক ইনিংসেই তিনবার ‘জীবন’ পেয়েছেন সিমন্স। ছবি: এএফপি

টেস্টে দুই ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ আছে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে সেই সুযোগ এক বার করে। কিন্তু লেন্ডল সিমন্স এক ম্যাচেই ‘চারটি ইনিংস’ খেলে ফেললেন! ভাবছেন, এটা আবার হয় নাকি ? কাল সেমিফাইনালে কিন্তু সেটাই হয়েছে। ম্যাচে তিন বার ‘আউট’ হয়ে গিয়েও যে ব্যাটসম্যান ব্যাট করে যেতে পারেন, তাঁর তো আসলে এক ম্যাচে চারটি ইনিংসই হয়!
প্রথম ইনিংসের কথাই ধরা যাক। সপ্তম ওভারে সিমন্স ব্যাট করছিলেন ১২ বলে ১৮ রান নিয়ে। অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন শর্ট থার্ড থার্ডম্যানে। সেটি দারুণভাবে ধরেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন জসপ্রিত বুমরা। সিমন্স হাঁটা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু আম্পায়াররা তাঁকে থামালেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, ওটা নো বল ছিল। সিমন্স বেঁচে গেলেন।
৫০ রানে আবার হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিলেন সিমন্স। সেটি কোমর উচ্চতায় হলেও আম্পায়াররা নো ডাকলেন না। কভারে অশ্বিন ক্যাচটা ধরতেই মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ফেটে পড়ল উল্লাসে। কিন্তু আম্পায়ার দেখলেন, ওভারস্টেপ করেছেন পান্ডিয়া। এবং সেটি পরিষ্কার ব্যবধানেই। ফিরে যেতে যেতে আরও একবার গেলেন না সিমন্স। মুখে তাঁর এক গাল হাসি। এবারের ইনিংসটা ২৩ বলে ৩২ রানের।
৬৮ রানের মাথায় অবশ্য আর নো বল নয়, তবে এবার বেঁচে গেলেন অন্যভাবে। ৩ ওভারে তখন ৩২ রান চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অফ স্টাম্পের বাইরে বুমরাহর প্রথম তিনটি বল ব্যাটই লাগাতে পারেননি। চতুর্থ বলে বল তুলে দিলেন ওয়াইডিশ লং অফে। জাদেজা বলটা ধরে আর তাল সামলাতে পারলেন না। ছুঁড়ে দিলেন কোহলির দিকে, সেটা কোহলি লুফেও নিলেন। আউট! বেরিয়ে যাওয়ার পথে আবারও দাঁড়ালেন সিমন্স। আবারও টিভি আম্পায়ার জানালেন, এখানেই সিমন্সের শেষ নয়। বলটা ধরার সময় জাদেজার পা সীমানা ছুঁয়েছে। সিমন্স এবার করলেন ১১ বলে ১৮।
এর পর আর পেছনে ফিরে তাকানো নয়। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন। ‘শেষ’ ইনিংসে হলো ৫ বলে ১৪ রান!

আরও পড়ুন: