ও রকম নাচ আগেও নেচেছেন সাকিব

ঝাঁকড়া চুল ছোট করে ফেলেছেন সাকিববিসিবি

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের মধ্যে একদিন হঠাৎ একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলো। হোটেলে সব দলের ক্রিকেটারদের মিলে করা বারবিকিউ পার্টিতে মাইক্রোফোন হাতে গান গাইছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেনরা। মাশরাফির ‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা’ গানের টানে ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে নাচতে শুরু করেন সাকিব আল হাসান।

সেই ঝাঁকড়া চুল যে সাকিবের খুব শখের ছিল, তা নয়। চুলটা তো এরই মধ্যে ছোটও করে ফেলেছেন। সাকিবের কথায়, ‘ও রকম চুল রাখার বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। বড় হচ্ছিল তো হচ্ছিল, আমিও তখন কাটাইনি। এখন আবার কেটেও ফেললাম...।’

এই চুল ঝাঁকিয়েই নেচেছিলেন সাকিব
ফাইল ছবি

হাততালি দিতে দিতে সেদিন যে নাচ দেখিয়ে সাকিব উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে সেটি দেখে ভক্তরাও সন্ধান পেয়েছিলেন এক নতুন সাকিবের; সেটিও কি তাহলে আর দেখা যাবে না! ও রকম ঝাঁকড়া চুল না থাকলে যে ‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা’ গানের নাচটাও জমবে না!

ভাবনাটা একেবারেই ভুল। সাকিব সেদিনই প্রথম নাচেননি, আর এমনও নয় যে তিনি শুধু চুল বড় থাকলেই নাচেন। বরং বাংলাদেশ দলের অন্দরমহলে সাকিবের নাচ আর হেঁড়ে গলায় গান ধরাটা নাকি পুরোনো দৃশ্যই। আজ শনিবার প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নিজেই ফাঁস করেছেন সে কথা, ‘আমি এমনিতে নাচ-গান পারি না। তবে আমার ও রকম নাচ সতীর্থরা আগেও দেখেছেন।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সাকিব ফিরতে চান আগের ছন্দে
বিসিবি

নাচ-গানে হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ের একটা দিন অন্তত সাকিবের ভালো কাটলেও মাঠে তাঁর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপটা ভালো যায়নি। দল জেমকন খুলনা চ্যাম্পিয়ন হলেও ৯ ম্যাচে সাকিবের রান ছিল ১২.২২ গড়ে মাত্র ১১০, উইকেট ৬টি। সাকিব আল হাসানের নামের সঙ্গে এই পারফরম্যান্স একদমই যায় না।

সাকিব অবশ্য বলেছেন, টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতে হবে, এ রকম কোনো লক্ষ্যই নাকি তাঁর ছিল না! টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা তিনি খেলেছেন মাঠে খেলার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতেই।

অনুশীলনে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে সাকিব আল হাসান
বিসিবি

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এক বছরের বেশি সময় পর মাঠে ফিরে কোন কাজটা সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে তাঁর? উত্তরটা শুনুন সাকিবের কাছ থেকেই, ‘সে রকম কিছুই মনে হয়নি আসলে। মাঠে যেহেতু দর্শক ছিল না, সে রকম চাপও ছিল না। এটা ছিল একটা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। হয়তো সে জন্যই ও রকম কিছু মনে হয়নি। আমি ওই চ্যালেঞ্জই কখনো অনুভব করিনি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল চলে আসছে কাল। এরপর থেকেই শুরু হবে তিন ওয়ানডে আর দুই টেস্টের সিরিজের ক্ষণগণনা। এই সিরিজ দিয়েই এক বছরের বেশি সময় পর সাকিব ফিরবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

এবার কি সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি? পুরোনো সাকিব হয়ে ফেরার চ্যালেঞ্জ!


* সাকিব আল হাসানের পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার পড়ুন কাল ছাপা সংস্করণে।