কাবাডি ও নারী হকি যোগ হচ্ছে বিকেএসপিতে

আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিকেএসপির বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিকেএসপির বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
>বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ হচ্ছে কাবাডি ও নারী হকি।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ১৭টি খেলায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও উপেক্ষিত ছিল জাতীয় খেলা কাবাডি। অবশেষে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে যোগ হতে যাচ্ছে জাতীয় এই খেলাটি। আজ মঙ্গলবার বিকেএসপির বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের সভায় চূড়ান্ত হয়েছে তা। এ ছাড়া আগামী বছর থেকে বিকেএসপিতে যোগ হতে যাচ্ছে নারী হকি।

বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিকেএসপির বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিকেএসপির বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান উপস্থিত ছিলেন। সভায় জনবল নিয়োগ, আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের জন্য ক্রীড়া বিভাগ নির্ধারণ, নিরাপত্তাপ্রহরীদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কাবাডি ক্রীড়া বিভাগ চালু ও হকি বিভাগে মেয়ে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তিসহ কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের বছরে ২ সেট পোশাক সরকারিভাবে প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিকেএসপিতে অবশেষে কাবাডি বিভাগ শুরু করতে যাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক রাশীদুল হাসান, ‘আমি কাবাডির বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খুব ইচ্ছা দ্রুততার সঙ্গে যেন বিকেএসপিতে জাতীয় খেলা চালু করা হয়। ইতিমধ্যে স্থান নির্ধারণ করেছি। আমাদের রামুতে (কক্সবাজার) যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটা (বিকেএসপির শাখা) হচ্ছে, সেখানেই কাবাডি শুরু করব। আশা করছি আগামী জানুয়ারি থেকেই কাবাডি চালু হবে।’ একই সঙ্গে নারী হকিতে ৩০ জন মেয়ে নিয়ে জানুয়ারিতে শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানান মহাপরিচালক।

সভায় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও বিকেএসপির মহাপরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, যুব ও ক্রীড়াসচিব জাফর উদ্দীন, বিকেএসপির পরিচালক রকিবুল বারী, বিকেএসপি কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. শাহরিয়ার কবীর।