কিংস, আবাহনীর জয়ের দিনে শেখ জামালের প্রথম হার

জয়সূচক গোলের পর সাইফ স্পোর্টিংয়ের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাসছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় পর্বেও জয়ের রাস্তাতেই হাঁটছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। তিন দলই আজ দ্বিতীয় পর্বে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে। আবাহনীর এটি টানা চতুর্থ জয়।

তবে দিনটা ভালো কাটেনি পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডির। রাজশাহীতে তারা ১–০ গোলে হেরে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ পুলিশের কাছে। চলতি লিগে এত দিন একমাত্র অপরাজিত ছিল শেখ জামালই। অবশেষে হারের তেতো স্বাদ পেল যোসেফ আপুসির দল।

৬২ মিনিটে বাবলু করেছেন পুলিশের মহামূল্যবান গোলটি। টানা তিন হারের পর ‘বড় মাছ’ শিকার করেই জয়ে ফিরল পুলিশ। সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচ পর তারা জয় পেয়েছে আজ।

শেখ রাসেলের জালে সাইফ স্পোর্টিংয়ের গোল
ছবি: প্রথম আলো

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে আজ দুবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত কিংস জিতেছে ৩–২ গোলে। সিলেটে দুই স্বাগতিকের লড়াইয়ে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে আবাহনীর জয় ২–১ গোলে। ২২ মিনিটের মধ্যে আবাহনী ২-০ করেছিল। গোল দুটি করেছেন মেহেদি ও আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা জুয়েল রানা। যোগ করা সময়ে ২-১ করেন রহমতগঞ্জের মেজবাহ।

ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিক শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে সাইফের জয় ১–০ গোলে। ৬১ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ক্রস থেকে অধিনায়ক রিয়াদুলের হেডে আসে ম্যাচের একমাত্র গোল।

দুর্ভাগ্য শেখ রাসেলের, দুবার তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট ও বার। প্রথমে হেমন্তের শট লাগে সাইড বারে। ১–০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মান্নাফ রাব্বির শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে।

ভারপ্রাপ্ত কোচ জুলফিকার মাহমুদের অধীনে এটিই প্রথম হার শেখ রাসেলের। আগের ৫ ম্যাচে ৩ ড্র আর ২ জয়। সব মিলিয়ে চলতি প্রিমিয়ার লিগে এটি শেখ রাসেলের ষষ্ঠ হার। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের সপ্তম জয়।

এ জয়ের পর কিংস অ্যারেনায় দাঁড়িয়ে সাইফের কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি বললেন, ‘টানা ৩ ম্যাচ জিতে আমরা খুশি। তবে আমাদের রক্ষণভাগ নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। রক্ষণে অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। এগুলো মেরামত করতে পরবর্তী ম্যাচে নামব, আশা করি।’

আজ মুন্সিগঞ্জে জয়ের স্বপ্ন দেখতে দেখতে শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের হতাশাই সঙ্গী হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার। বুরুন্ডির স্ট্রাইকার সুদি আবদাল্লাহ জোড়া গোল করেও পারলেন না দলকে জেতাতে। এমনকি পারেননি কোনো পয়েন্ট এনে দিতে।

১৪ ম্যাচ শেষে সাইফ স্পোর্টিংয়ের পয়েন্ট ২৪
ছবি: প্রথম আলো

তাঁর প্রথম গোলটি আসে ১৭ মিনিটে। মাঝবৃত্ত থেকে কিংসের রক্ষণে বল ফেলেন মুক্তিযোদ্ধার এক খেলোয়াড়। কিংস গোলকিপার আনিসুর রহমান ছিলেন বক্সের বাইরে। বল তাঁর সামনে এক ড্রপ খায়। এরপর আনিসুর বল ধরতে লাফিয়ে উঠলেও বল পাননি। হেড করেন আবদাল্লাহ। বল গড়িয়ে গড়িয়ে চলে যায় জালে। গোল করেই তিনি বসে পড়েন প্রার্থনায়। এরপর ৬০ মিনিটে করেন দ্বিতীয় গোল।

কিন্তু কিংস যতই গোল হজম করুক, দিন শেষে ঠিকই তারা জয় নিয়ে বেরিয়ে আসে মাঠ থেকে। আজ যেমন ৪৮ মিনিটে রবসন ১-১ করেন। ৭৩ মিনিটে ২–২ করেন এলিটা কিংসলি এবং ৮০ মিনিটে সুমন রেজা করেন জয়সূচক গোলটি।

১৪ ম্যাচ শেষে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে কিংস। দুইয়ে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩১। শেখ জামালের ২৭। সাইফ স্পোর্টিংয়ের ২৪।