কোস্টারিকার জয়, বিদায় ইংল্যান্ড!

ইতালি-কোস্টারিকা ম্যাচ
ইতালি-কোস্টারিকা ম্যাচ

আগের দিন সাও পাওলোতে ইংল্যান্ডের বিরাট সর্বনাশ করেছিলেন ইংলিশ লিগ মাতানো উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। আজ ইংলিশদের চূড়ান্ত ক্ষতি করল আরেক ইংলিশ লিগ তারকা ব্রায়ান রুইজ। ফুলহামের এ স্ট্রাইকারের (ধারে খেলেন ডাচ ক্লাব এইনদোফেনে) দারুণ এক হেডে ইতালিকে ০-১ গোলে হারিয়ে ২৪ বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হলো কোস্টারিকার। আর কপাল পুড়ল ইংল্যান্ডের। ইতালি জিতলে ইংলিশদের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন বেঁচে থাকত। কোস্টারিকার বিজয়ে আদতে বিশ্বকাপ অধ্যায়ের অকাল সমাপ্তি ঘটল রুনিদের! কোস্টারিকার জয়ের পর ইংলিশ পত্রিকাগুলোর অভিন্ন শিরোনাম—‘ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ শেষ!’
বিশ্বকাপের আগে ‘গ্রপ অব ডেথ’-এর তিন দল—ইতালি, উরুগুয়ে, ইংল্যান্ড নিশ্চয় ছঁক কষেছিল কোস্টারিকাকে পরাজয়ের তালিকায় ধরে। ভাবা হচ্ছিল, কোস্টারিকা হবে তিন সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ‘খাদ্য’। সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে ফেলল কনক্যাকাফ অঞ্চলের দলটি। উল্টো কোস্টারিকার ‘খাদ্য’ হলো ইতালি, উরুগুয়ে! কোস্টারিকার মতো তুলনামূলক কম শক্তির দলের কাছে পরপর দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের (১৯৩০ ও ১৯৩৪) হারের ঘটনা বিরল বটে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়েকে ১-৩ গোলে উড়িয়ে দেওয়া কোস্টারিকা আজও ছিল দুরন্ত। আজ্জুরিদের রক্ষণভাগে চালিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। ইতালির গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী বুফনকে  পরীক্ষা দিতে হলো একাধিকবার। ৪৩ মিনিটে বক্সে কোস্টারিকার জোয়েল ক্যাম্পবেলকে বাজেভাবে ট্যাকল করেছিলেন জর্জো কিয়েলিনি। তবুও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি। এতে বেজায় চটলেন কোস্টারিকা কোচ হোর্হে লুইস পিন্টো। রাগে গজরাতে থাকলেন ডাগ-আউটে! ঠিক এক মিনিট পরেই জুনিয়র ডায়াজের ক্রসে অসাধারণ হেডে বল জড়িয়ে দিলেন ব্রায়ান রুইজ।
ম্যাচে ইতালির দখলে বল ছিল ৫২ শতাংশ। সিজারে প্রানদেল্লির ছাত্ররা আজও যথারীতি ছোট ছোট পাসে খেললেন। কিন্তু কোস্টারিকার রক্ষণভাগ ভেদ করে ম্যাচে ফিরতে পারলেন না। মারিও বালোতেল্লি একের পর এক লক্ষভ্রষ্ট্য শট নিলেন। ৩০ মিনিটে কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইল নাভাসকে একা পেয়েও গোল দিতে পারলেন না ইতালির স্ট্রাইকার।  ৬৯ মিনিটে তো হলুদ কার্ডই দেখলেন ‘ব্যড বয়’ বালোতেল্লি। তবুও পুরো সময় তাঁকে মাঠে রাখলেন প্রানদেল্লি। হয়তো গত ম্যাচের মতো কোনো চমকের আশায়। অবশ্য গোলের জন্য মরিয়া প্রানদেল্লি দ্বিতীয়ার্ধে দুজন ফরোয়ার্ড আন্তোসিও কাসানো ও আলোসিও চেরচিকে নামালেন। তবুও গোলের দেখা মিলল না। এ পরাজয়ে ২৪ জুনের ইতালি-উরুগুয়ে ম্যাচ রুপ নিল ‘মহারণে’। ওই ম্যাচ যারা জিতবে, তারাই যাবে পরের রাউন্ডে।