চলে গেলেন হকি তারকা এহতেশাম সুলতান

ছোটভাই, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনির সঙ্গে এহতেশাম সুলতান (বামে)
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও কোচ এহতেশাম সুলতান আর নেই। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ক্রীড়াবিদ আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় চলে গেছেন না–ফেরার দেশে। কিছুদিন ধরে গলব্লাডার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। লিভার ক্যানসারেও আক্রান্ত ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তাঁর জানাজা আজ বেলা তিনটায় মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে হবে।

এহতেশাম সুলতানের ছোট ভাই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি। তাঁর আরেক ভাই এলহাম সত্তর দশকে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের গোলরক্ষক ছিলেন। জনির যমজ ডনও ফুটবল খেলতেন। ছয় ভাইয়ের মধ্যে চারজনই খেলাধুলা করতেন। এহতেশাম সুলতান আজাদ পিডব্লিউডির হয়ে ঢাকার প্রথম বিভাগে ফুটবল খেলেন। হকি খেলেন সোনালী ব্যাংকের জার্সিতে।

পূর্ব পাকিস্তান দলে ১৯৬৮-৭০ পর্যন্ত হকি খেলেন এহতেশাম সুলতান। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে হকি টেস্ট সিরিজে খেলেছেন। আশির দশকের শুরুর দিকে অবসরের পর জাতীয় দলের কোচও হয়েছেন। এশিয়া কাপ, এশিয়ান গেমসসহ অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত হকি খেলোয়াড় হোসেন ইমাম চৌধুরী সান্টা প্রথম আলাকে বলেন, ‘ এহতেশাম ভাই ছিলেন শান্ত মানুষ। শৃঙ্খলা মানতেন। কখনো কোনো খারাপ অভ্যাস ছিল না। খেলোয়াড় হিসেবে ভালো ছিলেন। মাঝমাঠ ও আক্রমণ—দুই জায়গাতেই খেলেছেন। তাঁর মৃত্যুতে একজন নিবেদিতপ্রাণ হকি ব্যক্তিত্ব হারালাম আমরা।’ ভাইকে হারিয়ে শোকার্ত ইমতিয়াজ সুলতান জনির কথা, ‘এহতেশাম ভাইয়ের হাত ধরেই আমি ফুটবল মাঠে আসি। আমার ফুটবলার হওয়ার পেছনে তাঁর বিরাট অবদান। গতকালই ছিল আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। আজ ভাই চলে গেলেন। তাঁকে সব সময়ই মিস করব আমরা।’