জিম্বাবুয়েকে বিদায় করে আফগানরা সুপার টেনে

সামিউল্লাহ শেনওয়ারি-মোহাম্মদ নবীর পঞ্চম উইকেট জুটিরই বড় অবদান আফগানদের জয়ে। ছবি: আইসিসি
সামিউল্লাহ শেনওয়ারি-মোহাম্মদ নবীর পঞ্চম উইকেট জুটিরই বড় অবদান আফগানদের জয়ে। ছবি: আইসিসি

পরাজয় আর পরাজয়। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারই যেন জিম্বাবুয়ের নিয়তি! আফগানদের বিপক্ষে পরিসংখ্যানটা দেখে মুখ লুকাতে পারেন চিগুম্বুরা-মাসাকাদজারা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে আফগানদের বিপক্ষে পাঁচবার মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই হার। আজকের পরাজয়টাই সর্বশেষ। নাগপুরে জিম্বাবুয়েকে ৫৯ রানে হারিয়ে সুপার টেনে পা রাখল আফগানিস্তান।

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তানের। প্রথম পর্ব থেকেই বাদ। এবার দুই দলের সামনে এমনই সমীকরণ ছিল, আজ যে জিতবে সে-ই সুপার টেনে। জিম্বাবুয়েকে হতাশায় ডুবিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আফগানিস্তান।
১৮৭ রানের বিরাট লক্ষ্য। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা রান তুলবেন কী, উল্টো যোগ দিলেন উইকেট বিলিয়ে আসার মিছিলে! সর্বোচ্চ ১৭ রান দশ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা তিনাশে পানিয়াঙ্গারার, এতেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং দুর্দশা স্পষ্ট। আফগানিস্তানের সফলতম বোলার লেগস্পিনার রশিদ খান,নিয়েছেন ৩ উইকেট।
মোহাম্মদ শেহজাদ-নূর আলী জাদরান দারুণ সূচনা এনে দেন আফগানিস্তানকে। ২৩ বলে ৪০ রান করা শেহজাদ আউট হলে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান। ১৪ রানের ব্যবধানে তারা হারায় ৪ উইকেট। কিন্তু ম্যাচের রং বদলে দেয় পঞ্চম উইকেট জুটিতে সামিউল্লাহ শেনওয়ারি-মোহাম্মদ নবীর ৯৮ রানের জুটি। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থেকে শেনওয়ারি আউট হলেও নবী সুযোগ হাতছাড়া করেননি। রানআউটে কাটা পড়ার আগে করেছেন ৩২ বলে ৫২। ম্যাচসেরাও তিনি।