দিব্যেন্দু চ্যাম্পিয়ন, মেহেদির নর্ম

ক্রীড়া প্রতিবেদক সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে তাঁর। ২০০৬ সালে ইতালির তুরিনে গিয়েছিলেন দাবা অলিম্পিয়াডে খেলতে। কিন্তু বাজে পারফরম্যান্সের জন্য রাগ করে খেলাই ছেড়ে দিয়েছিলেন এক বছর। দাবাকে ভালোবাসেন বলে আবারও ফিরে এসেছেন চৌষট্টি ঘরের সাদা-কালো বোর্ডে। নিয়মিত খেলতে থাকলেন। কিন্তু ফিদে মাস্টার খেতাবটা নামের পাশ থেকে সরাতে পারেননি এত দিন মেহেদি হাসান। তবে এবারের ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স ও ইউনাইটেড লিজিং গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা থেকে একটি আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) নর্ম পেয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে এটাই। আর সাড়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। পুরস্কার হিসেবে জিতে নিলেন ১৬০০ মার্কিন ডলার।কাল ছিল শেষ রাউন্ডের খেলা। জয় দিয়েই শেষ করেছেন দিব্যেন্দু ও মেহেদি। দিব্যেন্দু কাজাকস্তানের গ্র্যান্ডমাস্টার খুশনুতদিনভকে এবং মেহেদি একই দেশের গ্র্যান্ডমাস্টার আনোয়ার ইসমাগামবেতভকে হারিয়েছেন। ৭ পয়েন্ট নিয়ে রানারআপ হয়েছেন জর্জিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার মিখাইল মাকেদলিশভেলি, তৃতীয় মেরাব গাগুনাশভিলি। সাড়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়েছেন মেহেদি। বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার অষ্টম ও এনামুল হোসেন হয়েছেন দ্বাদশ।প্রথম আইএম নর্ম এল, খেতাব পেতে আরও দ্রুতই এগোতে চান মিরপুর বাংলা কলেজে স্নাতকের ছাত্র, ‘আমার লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। তবে এর আগে আমাকে আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্মের অন্তত আরও দুটি ধাপ পেরোতে হবে। আগামীকাল কলকাতায় যাচ্ছি গুডরিখ ওপেনে খেলতে। আশা করি সেখানে আরেকটা নর্ম হয়ে যাবে। এই টুর্নামেন্টের বেশ কয়েকজন গ্র্যান্ডমাস্টার ছাড়াও আরও অনেকেই তো সেখানে খেলবে। তাই ওখানে অস্বচ্ছন্দ বোধ করব না।’ বাংলাদেশের দাবায় টাকা নেই বলেই এখানে দাবা খেলোয়াড় উঠে আসছে না— টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দিব্যেন্দুর মন্তব্য এমনই। কলকাতার উদাহরণ টেনে তিনি বললেন, ‘কলকাতায় ৩০-৪০টা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দাবাকে সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে রাখা হয়েছে। অনেক স্কুলে দাবা খেলা বাধ্যতামূলকও। কিন্তু এখানে সেসবের কিছুই নেই। ফেডারেশনকেই তাই এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে কাল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। উপস্থিত ছিলেন নেপাল দাবা ফেডারেশনের সভাপতি রাজেস হরি জোসি।