নতুন মেসির ক্যারিয়ার বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সাবেক রিয়াল কোচ

এককালে মেসির সতীর্থ ছিলেন হালিলহোভিচ।ছবি: টুইটার

দেড় দশক ধরেই ব্যাপারটা চলেছে। কোনো না কোনো খেলোয়াড়ের গায়ে ‘নতুন মেসি’র তকমা লাগিয়ে দেওয়া আরকি! গণমাধ্যম এই কাজটা করে যাচ্ছে নিষ্ঠার সঙ্গেই। স্প্যানিশ উইঙ্গার বোয়ান কিরকিচ থেকে শুরু করে জেরার্ডো ব্রুনা, গাই আসুলিন, ইকার মুনিয়াইন, আর্জেন্টিনার পাওলো দিবালা, মাউরো জারাতে ও এরিক লামেলা, মিসরের আমির সাউদ, জাপানের রিও মিয়াইচি, স্কটল্যান্ডের রায়ান গল্ড, ক্রোয়েশিয়ার অ্যালান হালিলহোভিচ, নরওয়ের মার্টিন ওডেগার্ড, ইতালির পিয়েত্রো পেলেগ্রি, ইরানের সরদার আজমুন, জার্মানির মার্কো মারিন ও মারিও গোটশে, মেক্সিকোর জিওভানি দস সান্তোস ও দিয়েগো লাইনেজ, তুরস্কের মোহাম্মদ দেমির্সি ও চেঙ্গিজ উনদের—ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁদের প্রত্যেকেরই ছিল ‘নতুন মেসি’র তকমা।

এসি মিলানেও বছর দুই আগে খেলে গেছেন এই ক্রোয়েশিয়ান মেসি।
ছবি: টুইটার

কিরকিচ, আসুলিন, দস সান্তোস তো বার্সাতেই খেলতেন। লাভ হয়নি, প্রতিভার বিকাশ যথার্থভাবে হয়নি। শেষমেশ ক্রোয়েশিয়ার অ্যালান হালিলহোভিচকে বড় আশা করে দিনামো জাগরেব থেকে ২২ লাখ ইউরোর বিনিময়ে দলে টেনেছিল বার্সা। হালিলহোভিচের বয়স তখন মাত্র ১৮। বার্সা তো বটেই, সে সময়ে এমন কোনো বড় ক্লাব ছিল না, যারা হালিলহোভিচকে চায়নি। তবে দস সান্তোস, আসুলিনদের চেয়ে হালিলহোভিচের ক্যারিয়ারের পথটা ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। দুই বছরের মধ্যেই বার্সেলোনা বুঝে যায়, অপাত্রে টাকা ঢালা হয়েছে। বার্সা বিক্রি করে দেওয়ার পর বেশ কয়েকটা ক্লাবে খেললেও প্রতিভার প্রতি সুবিধা করতে পারেননি। করোনাকালে কোথাও সুযোগ পান কি না, সে নিয়েই প্রশ্নও উঠেছিল। দেখা দিয়েছিল ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার শঙ্কা। শেষমেশ রিয়ালের সাবেক এক কোচের বদান্যতায় ক্যারিয়ার বাঁচানোর আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন এই সাবেক বার্সা তারকা।

আইতর কারাঙ্কা ছিলেন জোসে মরিনিওর অধীনে রিয়াল মাদ্রিদের সহকারী কোচ। সাবেক এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রিয়াল ছাড়ার পর মিডলসব্রো, নটিংহাম ফরেস্টের দায়িত্ব নিয়েছেন মূল কোচ হিসেবেই। খেলোয়াড় হিসেবেও পাঁচ বছর খেলে গেছেন রিয়ালে। এখন আছেন বার্মিংহাম সিটির দায়িত্বে। সেই দলেই হালিলহোভিচকে টেনেছেন কারাঙ্কা। আর তাতেই নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর আরেকটা সুযোগ পেয়ে গেছেন ‘ক্রোয়েশিয়ান মেসি’ হিসেবে এককালে পরিচিতি পাওয়া এই তারকা। দলবদলটা হয়েছে ফ্রিতে। অর্থাৎ হালিলহোভিচকে দলে টানতে কোনো খরচ হয়নি বার্মিংহামের।

অবশেষে বার্মিংহামে মিলেছে ঠাঁই।
ছবি: টুইটার

অথচ আগে শুধু মেসির উত্তরসূরিই নয়, গ্যারেথ বেলের উত্তরসূরি হওয়ার সুযোগও এসেছিল এই তারকার সামনে। বেল যখন রিয়াল মাদ্রিদে গেলেন, বেলের উত্তরসূরি হিসেবে হালিলহোভিচের নাম উঠেছিল। যাঁর চোখে তখন বার্সার স্বপ্ন, তাঁর কি আর স্পার্সে যেতে মন চায়? শেষমেশ হালিলহোভিচকে পাওয়ার দৌড়ে বার্সাই জিতে যায়।

জিতে আর লাভ কী হলো? নতুন মেসি তো আর হওয়া হলো না। এখন বার্মিংহামে সাবেক রিয়াল কোচের অধীনে যদি একটু পুরোনো জাদু ফেরে আরকি!