পরিবারের সঙ্গে শেষ দেখাও হলো না তাঁর

স্ত্রী, কন্যার সঙ্গে হুমায়ুন কবির। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী, কন্যার সঙ্গে হুমায়ুন কবির। ছবি: সংগৃহীত

শ্বাসকষ্ট হওয়ায় গতকাল ঈদের দিনে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষার ফল আসে নেগেটিভ। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাড়ি আর ফেরা হলো না বাংলাদেশের কারাতে অঙ্গনের চেনা মুখ হুমায়ন কবিরের। অকালে চলে গেলেন। মাত্র ৫২ বছর বয়সে আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

দেশে-বিদেশে অনেক সোনাজয়ী হুমায়ুন কবির বাংলাদেশের হয়ে প্রথম কারাতে বিশ্বকাপ খেলেন। বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আনসার কারাতে দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক বিচারক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। গত ডিসেম্বরে নেপালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে খেলা পরিচালনা করে আসেন। জাতীয় কারাতে দলের সাবেক এই খেলোয়াড় খেলা ছেড়ে জাতীয় দলের কোচও হয়েছেন।

হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। পরিবারের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ৩ বছর আগে। গত এসএ গেমসে জাতীয় কারাতে দলের কোচ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আজ প্রথম আলোকে বলেন, 'ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনি আর যেতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্র। কাগজপত্রের সমস্যায় ভিসা নিতে পারেননি। এ কারণেই পরিবার থেকে দূরে ছিলেন ৩ বছর। তাঁর এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক এবং দেশের কারাতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।'
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছে।