ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশ পার করল ৬৩৭ কিলোমিটার

পঞ্চম দিন শেষ হলো ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশের
পঞ্চম দিন শেষ হলো ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশের

২০১৭ সালের শেষ দিনে ছিল ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশের পঞ্চম দিন। গত চার দিনের একদিন বিশ্রাম বাদ দিয়ে তিন দিনে রাইডাররা চালিয়েছে ৫৩০ কিলোমিটার। কাল শ্রীমঙ্গল, সাতছড়ি হয়ে গন্তব্য ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। ১০৭ কিলোমিটার। ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশ সব মিলিয়ে পার করল ৬৩৭ কিলোমিটার।

কাল রাইড শুরু হয় সকাল আটটায়। সকাল সাড়ে ছয়টায় নাশতা, সোয়া সাতটায় ব্যাগ ড্রপ এবং রিপোর্টিং, এরপর স্ট্রেচিং করে সবাই ঠিকভাবে রাইডের জন্য প্রস্তুত।

গত দুই দিনের তুলনায় শীতের প্রকোপ কম ছিল। হেলতে দুলতে শুরু হয় ১০ কিলোমিটারের ওয়ার্ম আপ রাইড। এরপর গা ঝাড়া দিয়ে চালানো শুরু, প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পর আসে ব্রেক! পানি রিফিল আর স্ন্যাক্স খেয়ে এনার্জি আপ করতে করতে রেস মার্শাল থেকে চলে আসে টার্গেট। ছায়াঘেরা শ্রীমঙ্গলে ফুরফুরে আবহাওয়াটা কিন্তু বেশিক্ষণ থাকেনি। ঠিক বিপরীত চিত্র ছিল হাইওয়েতে। সূর্য বেশ তেজ ছড়াচ্ছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকেই রোদের তেজ ছিল দেখার মতো।

তবে নিয়ম মেনে ৩ দিনে প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের বেশি রাইড করা টিমের কাছে এগুলো এখন ডাল-ভাত। সবাই লক্ষ্যের আগেই ভালোভাবে শেষ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরবাসীকে বেশ কৌতূহলে ফেলে টিম হোটেলে চেক ইন করে সবাই। ফ্রেশ হয়ে সবাই চলে উদরপূর্তিতে! এরপর বিশ্রাম।

দিন শেষে সবকিছু যে ভালোভাবে শেষ হয়েছে, তা-ও কিন্তু না। রাস্তার একটা ভাঙা অংশে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায় রংপুর টিমের মোহাম্মদ ফাহাদুল ইসলাম। হেলমেট থাকায় এই যাত্রায় বড় কোনো চোট পাননি। বিকেলে দলীয় আলোচনা, টিম প্রেজেন্টেশন এবং এরপর আছে রাইডাররা কে কেমন করল তার পর্যালোচনা।

পুরোনো বছরের সব গ্লানি, আক্ষেপ ভোলার মিশন নিয়ে শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের শেষ দিনটা। রাইডারদের লক্ষ্যও কিন্তু আগামীর দিকে এগিয়ে চলা।
৩০ জন চালক ১০ দিনে ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার মিশন নিয়ে চলছে ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশ।