ফুটবল দল তো নয়, যেন সার্কাস!

পেরুর দল ইউনিয়ন কমার্সিওর কোচ দাবি করেছেন, তাঁর দলের নাম গিনেস বুক অব রেকর্ডসে ওঠা উচিত। না, এডগার ওসপিনা কোনো গর্ব থেকে নয়; এমন কথা বলেছেন নিদারুণ হতাশা আর লজ্জায়। তাঁর দল যে টানা তিন সপ্তাহে হাস্যকর সব গোল খেয়ে দেখল পরাজয়ের মুখ। লজ্জাজনক, হাস্যকর সব অঘটনই যেন নিয়তি তাঁর দলের।
পেরুভিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নিচের দিক থেকে দুইয়ে থাকা এ দলটিকে যেন ভূতে পেয়ে বসেছে। না হলে এমন সব অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড কেন ঘটবে? গত রোববার যেমন দলের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার হোয়াকুইন লেনসিনাস ছয় মিটার দূর থেকে নিজেদের জালেই ঠেলে দিলেন বল।
লজ্জাজনক সব পরাজয়ের শুরুটা দুই সপ্তাহ আগে করেছিলেন গোলরক্ষক হুয়ান ফ্লোরেস। গোলরক্ষকের উদ্দেশে হেড করে ব্যাকপাস ঠেলে দিয়েছিলেন এক ডিফেন্ডার। সেই ব্যাকপাস থেকে কুছ পরোয়া নেহি ভঙ্গিতে ড্রিবল করতে গিয়েছিলেন ফ্লোরেস। কিন্তু বেশি কেরদানি দেখাতে দিয়ে বল মিস করে বসেন। কিক মারতে গিয়ে উল্টে পড়ে যান ভারসাম্য হারিয়ে। সেই সুযোগে বল টেনে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা গোলপোস্টে আলতো টোকা দিয়ে বলটা জালে জড়ান প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়!
গত সপ্তাহে আরও বড় হাস্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন দলের এক খেলোয়াড় রেনজো রিনোস। ইউনিভার্স্তারিওর সঙ্গে খেলা ছিল কমার্সিওর। ইউনিভার্স্তারিওর এক খেলোয়াড় কমার্সিওর বক্সে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন ভেবে হতাশায় রাগে বলে লাথি মেরে বলটা নিজেদের জালেই জড়ান রিনোস। অথচ রেফারি পেনাল্টির বাঁশিই বাজাননি। পরে বাজিয়েছেন আত্মঘাতী গোলের বাঁশি!
টানা তিন সপ্তাহে এমন সব প্রহসনের জন্ম দেওয়ার পর দলের কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো দলের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমাদের গিনেস বুক অব রেকর্ডসে জায়গা করে নেওয়া উচিত। এ রকমটা আগে আমি কখনোই দেখিনি।’
তবে এর মধ্যেও একটা ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন কোচ। দল পেয়েছে আন্তর্জাতিক প্রচার, ‘১৫ দিন আগেও তারা ভাবত আমরা দোকানদারদের একটা সংগঠন। অন্তত এখন তারা জানে, আমরা একটা ফুটবল দল।’
হাস্যকর তিন গোলের একটির ভিডিও দেখুন: