কোহলির সেঞ্চুরির কাছে হারল বাংলাদেশ

কোহিলেতে সর্বনাশ বাংলাদেশের। ভারতের অধিনায়ক স্পর্শ করলেন ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ছবি: শামসুল হক
কোহিলেতে সর্বনাশ বাংলাদেশের। ভারতের অধিনায়ক স্পর্শ করলেন ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ছবি: শামসুল হক

১৬ মার্চ ২০১২-এ এশিয়া কাপে এই ভারতের বিপক্ষেই বাংলাদেশ পেয়েছিল রূপকথার এক জয়। প্রায় দুই বছর পর একই টুর্নামেন্ট, একই প্রতিপক্ষ। কিন্তু ম্যাচের ফল এবার উল্টো! চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও বাংলাদেশকে হারতে হলো ৬ উইকেটে। ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের সেঞ্চুরির কাছে বিফলেই গেল বাংলাদেশের অধিনায়কের অনবদ্য সেঞ্চুরিটি।  

ফতুল্লায় আজ বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ চাপের মধ্যেই পড়ে ভারত। যদিও কোনো উইকেট না হারিয়ে বিরাট কোহলির দল ১১.১ ওভারে তোলে ৫০। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ২৮ করা শিখর ধাওয়ানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফেরান আবদুর রাজ্জাক। এর কিছু পর জিয়াউর রহমানের ছোবলে ২১ করে ফেরেন আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা। তখন ভারতের রান রেট ৪.২৭, জিততে হলে ওভারপিছু তুলতে হবে ৬.০৫। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপও আগের মতো তারকাবহুল নয়। ম্যাচে বাংলাদেশই এগিয়ে।

এ পর্যায়ে উইকেটে দাঁড়িয়ে গেলেন কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক এনামুল-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটি। ভারতের ক্ষেত্রেও তা-ই। কোহলি-রাহানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এল ২১৩। এ জুটি বাংলাদেশকে উইকেটবঞ্চিত রাখল প্রায় ৩২.৫ ওভার। তবে রুবেলের করা ৪০তম ওভারে দারুণ এক মওকা পেয়েছিল বাংলাদেশ। রুবেলের শর্ট বলে মিড উইকেটে দাঁড়ানো মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাহানে। পরে থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিলেন, ক্যাচ লুফে নেওয়ার সময় মুমিনুলের হাত মাটি স্পর্শ করেছে। তখনো ভারতের দরকার ৬২ বলে ৬৩।

ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি কোহলি স্ট্রোকের দ্যুতি ছড়িয়ে তুলে নিলেন ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ১৩৬ করা ভারতের অধিনায়ককে যখন দারুণ এক ইয়র্কারে ফেরালেন রুবেল, ততক্ষণে আসলে ম্যাচই একরকম শেষ! কিছুক্ষণ পরে ৭৩ করা রাহানেকেও ফেরান সোহাগ গাজী। কিন্তু সেটি পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।

ছয় বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে ভারত। চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও বাংলাদেশের এমনতর পরাজয়ের পর মাত্র তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলা কতটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল, সে প্রশ্ন ওঠা মোটেও অমূলক নয়।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে একটা সিরিজের পর এশিয়া কাপেও সেই পরাজয়ের বৃত্তেই বন্দী থাকল মুশফিকুর রহিমের দল। এ বৃত্ত থেকে বেরুতে চাইলে শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের।