ফ্রান্সের বিদায়, সেমিফাইনালে জার্মানি

জার্মানি-ফ্রান্স
জার্মানি-ফ্রান্স

নকআউট পর্বে জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের হারটাই যেন অবধারিত হয়ে গেছে। ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালের টানা দুইটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল ফরাসিরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখল জার্মানি।

১৯৮২ সালের সেমিফাইনালে ফ্রান্স-জার্মানির ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই থাকবে বিশ্বকাপ ইতিহাসের রোমাঞ্চকর লড়াইগুলোর তালিকায় শুরুর দিকে। সেই ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে জার্মান গোলরক্ষক হ্যারাল্ড শুমাখারের জন্যও। ফরাসি ডিফেন্ডার প্যাট্রিক বাতিস্তনকে ভয়াবহ এক ফাউল করে নিন্দা কুড়িয়েছিলেন শুমাখার। আজকের ম্যাচেও আলোচনার কেন্দ্রে জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। তবে নেতিবাচকভাবে নয়। দারুণ দুইটি সেভ করে জার্মানির জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ২৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
আজ শুরু থেকেই ফ্রান্সকে চাপের মুখে রেখেছিলেন জার্মান ফুটবলাররা। প্রথম গোলের দেখা পেতেও খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৩ মিনিটের মাথায় টনি ক্রুসের ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছেন ম্যাটস হামেলস।
৩৫ মিনিটের মাথায় এই গোল শোধ করার দারুণ একটা সুযোগ ফ্রান্সও পেয়েছিল। কিন্তু ম্যাথু ভালবুয়েনার শট দারুণভাবে রুখে দিয়েছেন নয়্যার। খেলা শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে করিম বেনজেমার আরেকটি দুর্দান্ত গোল প্রচেষ্টা নস্যাত্ করে দিয়েছে নয়্যারের বিশ্বস্ত হাত। ৬১ মিনিটে রাফায়েল ভারানের হেডও দারুণভাবে তালুবন্দি করেছেন নয়্যার।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের মরীয়া চেষ্টাই চালিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু জার্মানির জমাট রক্ষণভাগ আর নয়্যারের দারুণ পারফরম্যান্সের কাছে হারই মানতে হয়েছে ফরাসি ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে ফ্রান্সের রক্ষণভাগকে বেশ চাপের মুখে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে খুব বেশি জোরালো আক্রমণ শানাতে পারেনি জার্মানি। ৮২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো সুযোগটি এসেছিল জার্মান স্ট্রাইকারদের সামনে। গোলপোস্টের এক প্রান্ত থেকে টমাস মুলারের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন মেসুত ওজিল। কিন্তু মুলার বলে পা-ই ছোঁয়াতে পারেননি। আন্দ্রে শুরলে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস।
এর আগের ম্যাচগুলোতে প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে না পারলেও আজ ফ্রান্সের বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলছেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। কিন্তু গোলের দেখা পাননি। বিশ্বকাপে আর মাত্র একটি গোল করতে পারলেই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোকে ছাড়িয়ে এককভাবে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি দখল করতে পারবেন জার্মানির এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার।