বৃষ্টির আগেই শেষ সাকিব–ঝড়

প্রথম ম্যাচে দারুণ খেলেছেন সাকিবফাইল ছবি

ইস্, আর একটা বল যদি থেকে যেতে পারতেন সাকিব আল হাসান! স্থানীয় সময় বিকাল সোয়া ৩টায় খেলা শুরু হয়ে ৭.৪ ওভার হতেই বৃষ্টি। দলকে ৬০ রানে রেখে হেইডেন ওয়ালশের বলে সাকিব কট বিহাইন্ড হয়ে যান তার আগের বলেই।

বৃষ্টিতে উইকেটের আশপাশ ভেজা থাকায় উইন্ডসর পার্কে প্রথম টি–টোয়েন্টিটি শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের পৌনে দুই ঘন্টা পর। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ১৬ ওভারে। টসে জিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই ফিল্ডিং নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। টেলিভিশনে বলছিলেন, ‘কাভারে ঢাকা থাকায় উইকেট দেখিনি। আমরা নিশ্চিত নই উইকেট কেমন হবে। তাই বোলিং নিয়েছি।’ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য আফসোসই করছিলেন, ‘টসে জিতলে আমরাও বোলিংই নিতাম। নতুন উইকেট, আমাদের বুঝে খেলতে হবে।’

পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বুকে ধারণ করা উইন্ডসরের উইকেটটাকে সবচেয়ে ভালো বুঝেছিলেন সম্ভবত সাকিব আল হাসানই। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার কট বিহাইন্ড। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার এনামুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে সাকিব শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ।

দুজনের ৩৪ রানের জুটি হয়ে যায় মাত্র ১৮ বলেই। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে রোমারিও শেফার্ডকে এনামুলের বাউন্ডারি, চতুর্থ বলে কাট করে সাকিবের চার। পরের ওভারের পঞ্চম বলে স্লগ সুইপে আকিলকে সাকিবের ছক্কা, পরের বলে স্লগ সুইপে চার। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ওয়ালশ জুনিয়রের ফুলটসে সাকিবের বিশাল ছক্কা তো গিয়ে পড়ল পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে পেয়ে উৎসবে ভাসতে থাকা গ্যালারিতে।

অষ্টম ওভারে লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের বলে কট বিহাইন্ড সাকিব। তার আগে ১৫ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় মোটামুটি ঝোড়ো ২৯ রানই করেছেন তিনি। মাঝে অবশ্য হারিয়েছেন দুই সঙ্গী এনামুল আর লিটন দাসকে। দুজনই ভালো শুরু করেও পারেননি সেটা ধরে রাখতে।

বাঁহাতি পেসার ওবেদ ম্যাকয়ের বলে রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লু থেকে বাঁচতে পারেননি এনামুল। আর সপ্তম ওভারে লিটন ক্যাচ দিয়েছেন শেফার্ডের স্লোয়ার শর্ট বল বুঝতে না পেরে একটু আগেই পুল শট খেলে।

৬০ রানে বাংলাদেশের ৪ উইকেট হারানো উইন্ডসর পার্কের গ্যালারিতে উৎসবের ঢেউ তুলেছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার দিনে পুরো স্টেডিয়াম এলাকা এমনিতেই মেতেছে উৎসবে।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টি থামলেও শুরু হয়নি খেলা। ১৬ ওভারের ম্যাচটি এবার নেমে এসেছে ১৪ ওভারে। বৃষ্টি বাধা থাকলেও নাচে–গানে ডমিনিকানদের উৎসব অবশ্য চলছিল পুরোটা সময়।