মাকে দেখতেই বগুড়ায় মুশফিক

বগুড়ায় অনুশীলনের ফাঁকে মুশফিকুর রহিমছবি: সোয়েল রানা

দেশে আছেন, খেলাও ছিল না অথচ দুই ঈদের কোনোটিতেই বাড়ি যাওয়া হয়নি মুশফিকুর রহিমের। কেন যেতে পারেননি সেটি তো জানাই—কোভিড পরিস্থিতি মুশফিককে বাধ্য করেছে ঢাকায় ঘরবন্দী থাকতে। ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এবার মুশফিক একটু  ঘুরতে গেছেন বগুড়ায় নিজ শহরে। বগুড়ায় যাওয়ার একটাই কারণ, বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে আসা।

সাত-আট মাস বাড়িতে আসেনি। ওর মা ওকে না দেখতে পেরে অস্থির হয়ে গিয়েছিল। সে কারণেই ওর আসা
মাহবুব হামিদ, মুশফিকের বাবা

করোনায় ঘরবন্দী হয়ে পড়ার পর গত পাঁচ মাস কোথাও যাওয়া হয়নি মুশফিকের। বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও হচ্ছিল না তাঁর। সামনে শ্রীলঙ্কায় লম্বা সফর। তার আগে দেশে আবাসিক ক্যাম্প। পুরোপুরি ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ার আগে একবার বাবা-মাকে দেখে আসতে চেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বগুড়া থেকে মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ প্রথম বললেন, ‘সাত-আট মাস বাড়িতে আসেনি। ওর মা ওকে না দেখতে পেরে অস্থির হয়ে গিয়েছিল। সে কারণেই ওর আসা। সামনে লম্বা সময় দেশের বাইরে থাকবে। দীর্ঘ সময় পর ছেলে,ছেলের বউ আর নাতিকে কাছে পেয়ে ভীষণ খুশি তার মা। রোববার আবার ঢাকায় ফিরে যাবে ওরা।’

সম্ভবত দেশের সেরা উইকেট। সময়টা খুব ভালো কেটেছে
মুশফিকুর রহিম

স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য বগুড়ায় গেছেন। তবুও অনুশীলন থেকে দূরে থাকতে পারেননি মুশফিক। প্রথম আলোর বগুড়া প্রতিনিধি আনোয়ার পারভেজ জানান, আজ বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের মাঝ উইকেটে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। বগুড়ার উইকেট দেখে ভীষণ তৃপ্ত মুশফিক। ফেসবুকে নিজের ব্যাটিংয়ের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সম্ভবত দেশের সেরা উইকেট। সময়টা খুব ভালো কেটেছে।’