যে রেকর্ড চায়নি ব্রাজিল

প্রথম ৫ ম্যাচে হজম করেছিল ৪ গোল। বাকি দুটি ম্যাচেও যদি ব্রাজিল এই হারে গোল খেত তাহলে অবশ্য এই লজ্জাজনক রেকর্ডের অংশীদার হতে হতো না তাদের। কিন্তু সেমিফাইনাল আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ দুটি যে সব গড়বড় করে দিল! শেষ দুই ম্যাচ ব্রাজিলের জালে ১০ গোল! ব্যস, লজ্জাজনক এক রেকর্ডের পাশে লেখা হলো ব্রাজিলের নাম। ৭ ম্যাচে লুইস ফেলিপে স্কলারির দল হজম করেছে ১৪ গোল। হেক্সা জেতার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল স্বাগতিকেরা, অথচ শেষ করতে হলো এ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল খাওয়ার রেকর্ড নিয়ে। গত রাতে মারাকানার ফাইনাল যদি জার্মানি-ব্রাজিল সেমিফাইনালের মতো গোলপ্রসবা না হয়ে থাকে তাহলে এ ‘রেকর্ডটা’ শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলেরই থাকছে।
বিশ্বকাপ ৩২ দলের হওয়ার পর (১৯৯৮ থেকে) এক আসরে ১২ বা তার চেয়ে বেশি গোল খাওয়া তৃতীয় দল ব্রাজিল। এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপের তিন ম্যাচে ১২ গোল খেয়েছিল সৌদি আরব। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রুপের তিন ম্যাচ মিলিয়েই ১২ গোল খেয়েছে উত্তর কোরিয়া। এবার যেমন জার্মানির কাছে গোলবন্যায় ভেসে গিয়ে লজ্জাজনক এই রেকর্ডে নাম তুলেছে ব্রাজিল, একই ব্যাপার হয়েছিল সৌদি আরব আর উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রেও। ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্যায়ে জার্মানির কাছে ৮-০ গোলে হেরেছিল সৌদি আরব। গত বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে পর্তুগাল ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়াকে।
তবে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই ওরা খেয়েছিল ১৬ গোল! প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে পেয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে হাঙ্গেরি (৯-০) আর তুরস্ক (৭-০)। এক টুর্নামেন্টে ১৫টি করে গোল খাওয়ার রেকর্ড আছে সুইডেন (১৯৫৪), ফ্রান্স (১৯৫৮) ও বেলজিয়ামের (১৯৮৬)। এদের মধ্যে সুইডেন ১৫ গোল খেয়েছে মাত্র ৫ ম্যাচে, ফ্রান্স খেলেছিল ৬টি ম্যাচ, ৭টি ম্যাচ খেলেছিল বেলজিয়াম।
এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল খাওয়ার রেকর্ড
গোল ম্যাচ দল সাল
১৬ ২ দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫৪
১৫ ৫ সুইডেন ১৯৫০
১৫ ৬ ফ্রান্স ১৯৫৮
১৫ ৭ বেলজিয়াম ১৯৮৬
১৪ ৩ জায়ার ১৯৭৪
১৪ ৩ হাইতি ১৯৭৪
১৪ ৬ জার্মানি ১৯৫৮
১৪ ৭ ব্রাজিল ২০১৪