‘সাইফদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে’

দুই ইনিংসেই শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে সাইফের টেকনিক ছিল প্রশ্নবিদ্ধছবি: এএফপি

সংস্করণটা বদলে গেছে, তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সমস্যাটা থেকেই গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার, পাওয়ারপ্লের ব্যাটিং ছিল আলোচনায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও তো বাংলাদেশকে ভোগাল ওই শুরুর ব্যাটিংই। ম্যাচশেষে অধিনায়ক মুমিনুল হক এ ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন নিজের ওপরই। তবে বলছেন, দ্বিতীয় টেস্টের আগে তেমন কিছু পরিবর্তন আনা সম্ভব না। যা উন্নতি, করতে হবে মানসিক দিক দিয়েই।

চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে তুলতে পেরেছে যথাক্রমে ১৯ ও ১৪ রান। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানেই ফিরেছেন প্রথম চারজন ব্যাটসম্যান, দ্বিতীয় ইনিংসে তো আরও কম—২৫ রানের মধ্যেই। অন্যদিকে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি দুই ইনিংসে তুলেছে যথাক্রমে ১৪৬ ও ১৫১ রান। প্রথম টেস্টের উইকেটকে মুমিনুল ‘ফ্ল্যাট’ বললেও সেটিতে যে দুই দলের অন্তত শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বিপরীতমুখী, সেটা তাই আলাদা করে না বললেও চলে।

চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে তুলতে পেরেছে যথাক্রমে ১৯ ও ১৪ রান
ছবি: প্রথম আলো

চার নম্বরে খেলা মুমিনুল অবশ্য এখানে দায় দেখছেন অনভিজ্ঞতারও, ‘টপ অর্ডারে আমিও আছি। টপ অর্ডারে বাকি সবাই ছিল অনভিজ্ঞ, আমিই একমাত্র ছিলাম ৪০টার বেশি খেলা। কাজেই দায়টা আমার নিজের উপরই নিচ্ছি।’

মুমিনুল দায়টা নিতে চাইলেও শুরুতে সাইফ হাসান বা নাজমুল হোসেনদের টেকনিক নিয়েও এ টেস্টের পর প্রশ্ন উঠেছে আবারও। দুই ইনিংসেই শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে সাইফের টেকনিক ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বিতীয় ইনিংসে শরীর থেকে দূরের বলে খোঁচা মেরে ফিরেছেন নাজমুল। মুমিনুলের মতে, এসব সমস্যা ঠিক করার দায়টা নির্দিষ্ট ব্যাটসম্যানের ওপরই, ‘সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়—সেটা ব্যক্তিগতভাবেই ঠিক করতে হবে। কোন জায়গায় সমস্যা, সেটা খুঁজে নিতে হবে। সেটা সাইফ থেকে শুরু করে সবার জন্যই। আসলে খেলার বিরতিতে এসব নিয়ে কাজ করা উচিত।’

টপ অর্ডারে ব্যর্থতার দায় নিজের ওপর নিতে চান মুমিনুল
ছবি: প্রথম আলো

৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে অবস্থার উন্নতিটা মানসিক দিক দিয়েই করতে হবে, মুমিনুল বলেছেন সেটাও, ‘পর্যাপ্ত সময় না, এই দুই দিনের বিরতিতে অনেক কিছু পরিবর্তন করা যাবে না—স্কিলের দিক দিয়ে। এ দুই দিনে আপনি নিজেকে যতটা মানসিক দিক দিয়ে ঠিক রাখতে পারেন, মানসিকতা দৃঢ় রাখতে পারেন, তাহলেই ফিরে আসা যাবে।

‘এই দুদিনে অনুশীলনে খুব বেশি অর্জন করতে পারবেন না। সোজা বাংলায় যদি বলি, এই দুই দিনে অত বেশি চিন্তা না করে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখাটা (গুরুত্বপূর্ণ)। আর কোন জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার সেসব নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে—মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা, এই বোলারদের বিপক্ষে খেলব, সেটার একটা মানসিকতা তৈরি করে রাখা। মানসিকভাবে ফিট থাকতে পারলে এসব জিনিস কাটানো যায়।’