'সাহায্যগুলো পাচ্ছে কারা?'

ফেডারেশনের ত্রাণ পাননি অনেক হকি খেলোয়াড়। ফাইল ছবি
ফেডারেশনের ত্রাণ পাননি অনেক হকি খেলোয়াড়। ফাইল ছবি

ভীষণ দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে সাবেক হকি খেলোয়াড় আশরাফুল ইসলামের। ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন। খেলেছেন আবাহনী, মোহামেডান, মেরিনার্স, সোনালী ব্যাংক ও সাধারণ বীমায়। খেলা ছেড়ে বর্তমানে রাজশাহীতে কোচ হিসেবে আছেন। কিন্তু করোনার দুঃসময়ে একেবারে বেকার হয়ে পড়েছেন সাবেক এই ফরোয়ার্ড। ক্যানসারে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসায় খরচ অনেক। সেই টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। ফেডারেশন থেকেও পাননি কোনো সহযোগিতা। 

একই অবস্থা বাপ্পী কুমার ঘোষের। ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগে খেলেন বাপ্পী। সর্বশেষ খেলেছেন অ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাবে। তাঁর পরিবারেও অভাব–অনটন লেগে আছে। রাজশাহীতে ক্লাব কোচিং করাতেন। করোনায় সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। অসুস্থ বাবা জিতেন ঘোষ কেয়ারটেকারের চাকরি করে সংসার চালান। বাপ্পীও ফেডারেশন থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাননি এ পর্যন্ত।

জয়পুরহাটের খেলোয়াড় বিপ্লব রায় প্রথম বিভাগে খেলেন ঢাকা ইয়ং স্টার ক্লাবে। খেলা বন্ধ হওয়ার পর বাবার সঙ্গে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু এখন বেকার। তিনিও ফেডারেশনের তহবিল থেকে কোনো ত্রাণ পাননি। 

অথচ করোনা সংক্রমণের শুরুতেই হকি ফেডারেশনের কয়েকজন কর্মকর্তার উদ্যোগে একটি ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়। সব মিলিয়ে সেখানে জমা হয় ৭ লাখ টাকা। সেখান থেকে নিয়মিতই দুস্থদের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানালেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, ‘খেলোয়াড়, কোচ, আম্পায়ার ও কর্মচারী মিলিয়ে ৩৭ জনকে আমরা টাকা দিয়েছি।’

ফেডারেশন ত্রাণ দিলেও সেটা যথাযথভাবে বিতরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন আশরাফুল, ‘ফেডারেশন থেকে টাকা দেওয়ার কথা আমিও শুনেছি। এই তালিকায় নাকি আমার নামও আছে। কিন্তু আমি কোনো টাকা পাইনি।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় হয়ে আমরা যদি কিছু না পাই, তাহলে সাহায্যগুলো পাচ্ছে কারা? এসব ভাবলেই খারাপ লাগে।’