সিটির হারে স্টার্লিংয়ের দোষ দেখছেন ডি ব্রুইনা?

শূন্য হাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ফিরছে সিটি।এএফপি

কেভিন ডি ব্রুইনিয়ার আক্ষেপ হতেই পারে।

কি দুর্দান্ত একটা মৌসুমই না কাটালেন! সব প্রতিযোগিতা মিলে গোল করেছেন ১৬টা, গোলে সহায়তা করেছেন আরও ২৩ বার। গার্দিওলার দলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিজেকে। এত কিছু করার পরেও মৌসুম শেষের অর্জন এক লিগ কাপ। ব্যস। লিগও জেতা হয়নি, হলো না চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাও। অথচ এই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার জন্যই মাথা কুটে মরছেন ম্যানচেস্টার সিটির কর্তাব্যক্তিরা, কোচ পেপ গার্দিওলাও সিটির হয়ে এক চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টায় আছেন বহুদিন, যারা সুযোগ পেলেই বলে ওঠে, মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তা ছাড়া গার্দিওলার আসলে ইউরোপসেরা হওয়ার 'যোগ্যতা' নেই!

গোটা মৌসুমজুড়ে এত কিছু করার পরেও লিওঁর কাছে বিদায় নিয়ে তাই হতাশায় মরছেন ডি ব্রুইনিয়া। নিজের কাজটা ঠিকই করেছিলেন, গোল করে দলকে সমতায় এনেছেন। কিন্তু একার কাজে কী আর হয়? দিন শেষে ফুটবল দলগত খেলা। তাই গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রহিম স্টার্লিংয়ের হাস্যকর কিছু মিস ও গোলবারে এডারসনের শিশুতোষ ভুলগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে বিদায় নেওয়াটা বেশ লজ্জার বলেই মনে হচ্ছে ডি ব্রুইনিয়ার কাছে, 'আমাদের আরও শিখতে হবে। এমন পারফরম্যান্স যথেষ্ট নয়। এটাই। নতুন বছর, কিন্তু সেই পুরোনো সমস্যা। প্রথমার্ধে অত ভালো খেলতে পারিনি আমরা, আমার মনে হয় সবাই বুঝেছেন সেটা। আমরা ধীর গতিতে খেলা শুরু করেছিলাম। আমার মনে হয় দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো খেলেছি। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেও ফিরে এসেছি, এরপর দুটি অনেক সুযোগ মিস করেছি। এরপরে দুটো গোল খেয়ে যাই। ৩-১ হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটাই তো শেষ হয়ে গেল। এবারে বিদায় নেওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।'

২-১ গোলে লিওঁ যখন এগিয়ে ছিল, তখন রহিম স্টার্লিং সহজ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে গোল করতে পারেননি। কেভিন ডি ব্রুইনিয়ার কথাতেও শোনা গেছে সেই আক্ষেপ, 'এমনকি ২-১ গোলে যখন পিছিয়ে ছিলাম, রাজ (রহিম স্টার্লিং) যদি গোলটা করতে পারত, স্কোরলাইন ২-২ হয়ে যেত। এটাই ফুটবল। এসব ছোট ছোট বিষয় গুলিই ফলাফল বদলে দেয়।'

নিজেদের হারের জন্য কোনো অজুহাত দিতে রাজি হননি ডি ব্রুইনিয়া, 'আমি কোনো কিছুর ওপর দোষ চাপাতে চাই না। আমরা এর থেকেও ভালো খেলতে পারতাম। এখন পেছনে ফিরে ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।'