স্কলারি 'নার্ভাস!'

ব্রাজিল কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি।
ব্রাজিল কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি।

ঘরের মাঠে, দর্শক-সমর্থন পরিবেষ্টিত হয়ে খেলাটা অনেক সময় চাপ হয়ে দেখা দেয়—বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে চিলির বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচের আগে ব্যাপারটা স্বীকার না করে পারেননি ব্রাজিল কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি।
স্কলারির কাছে ‘নক-আউট’ শব্দটিই যথেষ্ট স্নায়ু-ক্ষয়ী হিসেবে বিবেচিত। তার ওপর খেলাটা হবে ঘরের মাঠে, হাজারো দর্শককে সাক্ষী রেখে। চিলির বিপক্ষে ম্যাচটির আগে নিজেকে তাঁর যথেষ্টই ‘নার্ভাস’ মনে হচ্ছে, ‘নক-আউট পর্বের বিষয়টিই উদ্বেগের। এই ব্যাপারটিই স্নায়ু দুর্বল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ ধরনের ম্যাচে ভুলের মাশুলগুলো খুবই ভয়ংকর।’
উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা খেলারই অংশ। কিন্তু সাধারণভাবেই নক-আউট পর্বকে অনেক বেশি ভয়ানক মনে হয় স্কলারির কাছে, ‘আমি জানি খেলায় জয়-পরাজয় আছে। যেকোনো একটি দলকে হেরে যেতেই হবে। তবে আপনি নিজেকে এসবের বাইরে একজন সাধারণ ফুটবলপ্রেমী হিসেবে বিবেচনা করুন আপনি আপনার স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না। আমি নিজেও যদি ব্রাজিলের কোচ না হতাম, তাহলেও একই ব্যাপারই হতো।’
এদিকে ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার কাছে উত্কণ্ঠার দিনগুলো শুরু হয়ে গেছে ১২ জুন থেকেই। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচটা ছিল উত্কণ্ঠার শুরু। তবে এই উত্কণ্ঠাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপরই নির্ভর করে দলের সাফল্য, এটাও জানিয়ে দিয়েছেন সিলভা, ‘হ্যাঁ, উত্কণ্ঠা থাকবেই। বিশ্বকাপের শুরুর দিন থেকেই আমরা উত্কণ্ঠায় আছি। কিন্তু সাফল্য পেতে হলে ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।’
সিলভা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের অভিজ্ঞতাও টেনে নিয়ে এসেছেন, ‘মাঠে নামার আগে মনে হচ্ছিল আমি খেলাটাই ভুলে গেছি। আমি সেদিন একেবারেই আমার নিজের মধ্যে ছিলাম না।’
বিশ্বকাপে চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের রেকর্ড বেশ ভালোই। এখন পর্যন্ত চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপের তিনটি খেলাতেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। গত বিশ্বকাপেও শেষ ষোলোর লড়াইয়ে চিলির মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। সে ম্যাচটা ব্রাজিল জিতেছিল ৩-০ গোলে। তবে এবারের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ আলাদা। ব্রাজিল খুব সম্ভবত এর আগে কখনোই এত শক্তিশালী চিলিয়ান দলের মুখোমুখি হয়নি।