স্মিথের ‘টর্নেডো’ থামাতে পারছেন না কোহলিরা

আবারও সপাটে চলেছে স্মিথের ব্যাট।ছবি : এএফপি

থামানোই যাচ্ছে না স্টিভ স্মিথকে। প্রথম ওয়ানডেতে যেখানে শেষ করেছিলেন, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক! কচুকাটা করে ছেড়েছেন ভারতীয় বোলারদের, করেছেন ৬৪ বলে ১০৪ রান। আর তাতে রানের পাহাড়ে চেপেছে স্বাগতিকেরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৮৯ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তুলেছে ভারত।

ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তুলেছেন ম্যাক্সওয়েলও।
ছবি : এএফপি

প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ম্যাচের সঙ্গে মিল এখানেই শেষ নয়। স্মিথ সেঞ্চুরি তো করেছেনই, করেছেন মোটামুটি প্রথম ম্যাচের মতো একই গতিতে। দুই ম্যাচেই ৬২ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। তবে আগের ম্যাচের চেয়ে এক রান কম করেছেন। স্মিথের পাশাপাশি গত ম্যাচে ফিঞ্চ সেঞ্চুরি করলেও এই ম্যাচে ফিফটিতেই সন্তুষ্ট থেকেছেন অধিনায়ক (৬৯ বলে ৬০)। ইনিংসের শেষ দিকে গত ম্যাচেও ঝড় তুলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এই ম্যাচেও তাই হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই ন্যূনতম ফিফটি করেছেন এই ম্যাচে (ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, স্মিথ লাবুশেন, ম্যাক্সওয়েল)।

তবে এই ছোট্ট তথ্যটাই আশা জাগাচ্ছে কোহলিদের মনে। এর আগে যে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান ফিফটি করেছিলেন, সে ম্যাচে হেরেছিল তাঁরা। আর তাঁদের হারিয়েছিল? কোহলির এই ভারতই! সে ম্যাচে ৫২ বলে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ম্যাচ বের করে এনেছিলেন কোহলি। এই ম্যাচে কী সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে? দেখা যাক!

দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়াকে থামানোর কোনো উপায়ই জানা ছিল না কোহলিদের।
ছবি : এএফপি

তবে সিরিজটা যে ভাবে শুরু করেছেন স্মিথ, তাতে তাঁর ব্যাটে কীভাবে লাগাম পরানো যায়, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকবেন কোহলিরা। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্মিথের চেয়ে বেশি গতিতে রান তুলেছিলেন শুধু একজন। ২০০৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সিরিজে ২১১ রান তোলার পথে আফ্রিদির স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭২.৯৫। এ পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে ২০৯ রান তুলেছেন স্মিথ, স্ট্রাইক রেট ১৬২.০১। যে গতিতে এগোচ্ছেন, তাতে পরের ওয়ানডেতে আফ্রিদিকে ছাড়িয়েও যেতে পারেন এই তারকা। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টানা দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, তাও সেই ২০১৬ সালে। ভারতের বিপক্ষে এ নিয়ে পাঁচটা সেঞ্চুরি হয়ে গেল স্মিথের, এর মধ্যে তিনটাই করলেন টানা।

স্মিথ চলে যাওয়ার পরেও শেষ দিকে রানের চাকা সচল রেখেছেন ম্যাক্সওয়েল। চারটা করে চার আর ছক্কায় ২৯ বলে ৬৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। ন্যূনতম নয় ওভার বল করেছেন, এমন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কেউই আজ ষাটের কমে রান দেননি।

হ্যাজলউড-কামিন্সদের কপালেও কী এমন মার খাওয়া লেখা আছে? দেখা যাক!