১৯৬৬ বিশ্বকাপের নেপথ্য নায়ক

ববি চার্লটন
ববি চার্লটন

বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ৪৯ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকবে। আজ থাকছে ‘৪৯’ সংখ্যাটি নিয়ে—

৪৯—স্যার ববি চার্লটনের গোলসংখ্যা। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ১০৬ ম্যাচ খেলে এই ৪৯ গোল করেছেন চার্লটন। তবে এর মধ্যে ৪৬টি গোল বাদ দিয়ে শুধু তিনটি গোলই বিশেষভাবে মনে রাখতে চাইবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই কিংবদন্তি। বিশ্বকাপে করা তাঁর চার গোলের তিনটি এসেছিল ১৯৬৬-এর আসরে। ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে শিরোপা জেতাতে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। ফুটবলের আবিষ্কারকের দাবিদার ইংলিশদের সেটাই এখন পর্যন্ত একমাত্র শিরোপা হয়ে আছে।

পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ’৬৬-এর ফাইনাল জেতাতে গোললাইন বিতর্ক নাকি জিওফ হার্স্টের হ্যাটট্রিক বড় ভূমিকা রেখেছে—এ নিয়ে বিতর্ক এখনো হতে পারে। তবে এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই, চার্লটন না হলে ইংল্যান্ড হয়তো নিজেদের মাঠের সেই আসরে ফাইনালেই যেতে পারত না।

ওই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছিল পর্তুগাল। দুর্দান্ত খেলছিলেন আসলে সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন—ইউসেবিও। গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বে তাঁর জোড়া গোল প্রথম রাউন্ডেই বিদায় করে দিয়েছিল আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিল পর্তুগিজরা। শেষ আটে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ইউসেবিও করলেন চার গোল!

সেই পর্তুগালকেই শেষ চারে পেয়েছিল ইংল্যান্ড। চার্লটনের জোড়া গোলেই পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ইংলিশরা। পুরো বিশ্বকাপে তিন গোল—একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের জন্য সমীহ জাগানিয়া তো বটেই। ওই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বলও তাই জিতেছিলেন চার্লটন।

চার্লটনের ৪৯ গোল এখনো ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে এই রেকর্ডের সবচেয়ে কাছে আছেন ওয়েইন রুনি। ৩৮ গোল করেছেন চার্লটনের উত্তরসূরি।