এইচএসসি পরীক্ষার বিশেষ প্রস্তুতি-৩৯

প্রশ্নোত্তর  বাক্য গঠন
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা ২য় পত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

প্রশ্ন: বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক?
অথবা, বাক্য বলতে কী বোঝ? একটি সার্থক বাক্য গঠনে কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর: বাক্য: যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে বলে।
ডক্টর সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘পরস্পর অর্থ সম্বন্ধবিশিষ্ট যে পদগুলোর দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা বা বক্তব্য বা ভাব প্রকাশ পায়, সে পদগুলোর সমষ্টিকে বাক্য বলে।’
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, একটি সম্পূর্ণ মনোভাব যে সমস্ত পদ দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তাদের সমষ্টিকে বাক্য বলে।
একটি সার্থক বাক্যের গুণাবলি: ভাষার বিচারে একটি সার্থক বাক্যের নিচে তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক।
১। আকাঙ্ক্ষা, ২। আসত্তি এবং ৩। যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা, তা-ই আকাঙ্ক্ষা। যেমন: ‘চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে—’ বললে বাক্যটি সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করে না, আরও কিছু শোনার ইচ্ছা হয়। বাক্যটি এভাবে পূর্ণাঙ্গ করা যায়— ‘চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে’। এখানে আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি হয়েছে বলে পূর্ণাঙ্গ বাক্য।
আসত্তি: বাক্যের অর্থসংগতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদ বিন্যাসই আসত্তি। মনোভাব প্রকাশের জন্য বাক্যে শব্দগুলো এমনভাবে পরপর সাজাতে হবে যাতে মনোভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। যেমন: কাল বিতরণী হবে উৎসব কলেজে আমাদের পুরষ্কার অনুষ্ঠিত। এখানে পদগুলোর সঠিকভাবে সন্নিবেশ না হওয়ায় বাক্যের অন্তনির্হিত ভাবটি যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়নি। তাই এটিকে বাক্য বলা যায় না। এ ক্ষেত্রে পদগুলোকে নিচের যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট করতে হবে। কাল আমাদের কলেজে পুরস্কার বিতরণী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি আসত্তি সম্পন্ন বাক্য।
যোগ্যতা: বাক্যস্থিত পদগুলোর অন্তর্গত এবং ভাবগত মিলনবন্ধনের যোগ্যতা। যেমন: বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়। এটি একটি যোগ্যতাসম্পন্ন বাক্য। কারণ, বাক্যটিতে পদগুলোর অর্থগত এবং ভাবগত সমন্বয় রয়েছে। কিন্তু বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে বললে বাক্যটি ভাব প্রকাশের যোগ্যতা হারাবে, কারণ, রৌদ্র প্লাবন সৃষ্টি করে না।

প্রশ্ন: বাক্য কাকে বলে? গঠন অনুসারে বাক্যে কত প্রকার ও কী কী? উদহরণসহ আলোচনা করো।
অথবা, গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী, আলোচনা করো।
উত্তর: বাক্য: যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে।
ডক্টর সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘পরস্পর অর্থসম্বন্ধবিশিষ্ট যে পদগুলোর দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা বা বক্তব্য বা ভাব প্রকাশ পায়, সে পদগুলোর সমষ্টিকে বাক্য বলে।’
গঠন অনুসারে বাক্য: গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা
সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যথা: দ্বীনা বই পড়ে। এখনে দ্বীনা কর্তা এবং পড়ে সমাপিকা ক্রিয়া।
জটিল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র প্রধান খণ্ড বাক্য এবং তার ওপর এক বা একাধিক নির্ভরশীল বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহূত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন: যে পরিশ্রম করে সেই সুখ লাভ করে। এখানে ‘যে পরিশ্রম করে’ নির্ভরশীল বাক্য এবং ‘ সেই সুখ লাভ করে’ প্রধান খণ্ড বাক্য।
যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য কোনো অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে একটি পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন: লোকটি ধনী কিন্তু অসুখী।
যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং ও, কিন্তু, অথবা, অথচ প্রভৃতি অব্যয় যোগে সংযুক্ত থাকে।
# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি: মডেল টেস্ট-৩এর সঠিক উত্তর
১. ঘ ২. খ ৩. ঘ ৪. গ ৫. ক ৬. ক ৭. খ ৮. খ ৯. ঘ ১০. গ ১১. ঘ
১২. গ ১৩. খ ১৪.খ ১৫. ক ১৬. গ ১৭. গ ১৮. ক ১৯. গ ২০. ক।