একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা

অধ্যায়-১০ 
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ জীববিজ্ঞান ১ম পত্রের অধ্যায়-১০ থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।
চ ছ জ
ভুট্টা ডালিয়া ছত্রাক
আম পটোল মস
কাঁঠাল কাঁকরোল ফার্ন
প্রশ্ন:
ক. অঙ্গজ প্রজনন কাকে বলে?
খ. দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে Q চিহ্নিত কলামের উদ্ভিদগুলোর প্রজনন পদ্ধতির বর্ণনা দাও।
ঘ. P ও R কলামের উদ্ভিদগুলোর প্রজনন পদ্ধতির মধ্যে কোনটি উন্নত? মতামত দাও।
উত্তর: ক. দেহ অঙ্গের মাধ্যমে যে প্রজনন হয় তাকে অঙ্গজ প্রজনন বলা হয়। গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা প্রভৃতি অঙ্গের মাধ্যমে অঙ্গজ প্রজনন হয়ে থাকে।
উত্তর: খ. একই সময়ে ডিম্বাণুর সঙ্গে একটি পুংগ্যামেটের মিলন ও সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে অপর পুংগ্যামেটের মিলন-প্রক্রিয়াকে দ্বিনিষেক বলে। এ প্রক্রিয়ায় একটি পুংগ্যামেট ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয় এবং অপর একটি পুংগ্যামেট সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে মিলিত হয়। ফলে ডিম্বাণু জাইগোটে পরিণত হয় এবং ডিপ্লয়েড অবস্থা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস ট্রিপ্লয়েড অবস্থা প্রাপ্ত হয়।
উদ্ভিদের অঙ্গজ প্রজনন

উদ্ভিদের অঙ্গজ প্রজনন
উদ্ভিদের অঙ্গজ প্রজনন

উত্তর: গ. যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার নিজের অনুরূপ বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে। আর দেহ অঙ্গের মাধ্যমে সংঘটিত প্রজননকে বলা হয় অঙ্গজ প্রজনন। উদ্দীপকে Q কলামের উদ্ভিদগুলো (ডালিয়া, পটোল, কাঁকরোল) মূলের সাহায্যে প্রজনন করে থাকে। এদের যেকোনো একটির মূল উপযুক্ত পরিবেশে লাগিয়ে দিলে তা থেকেই স্বাভাবিকভাবে নতুন গাছের জন্ম হয়। এ ধরনের প্রজননকে স্বাভাবিক অঙ্গজ প্রজনন বলে। সুতরাং Q কলামের উদ্ভিদগুলোর মূলের সাহায্যে স্বাভাবিক অঙ্গজ প্রজনন হয়।
উত্তর: ঘ. উদ্দীপকে P কলামের উদ্ভিদগুলোর (ভুট্টা, আম, কাঁঠাল) যৌন-প্রজনন হয়। এই প্রক্রিয়ায় পুংগ্যামেট এবং স্ত্রীগ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং নিষেকের মাধ্যমে বীজ উৎপন্ন হয়। অপরপক্ষে R কলামের উদ্ভিদগুলো (ছত্রাক, মস, ফার্ন) অণুবীজের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন হয়। যৌন ও অযৌন প্রজননের মধ্যে P কলামের উদ্ভিদগুলোর যৌন প্রজননপদ্ধতি অধিকতর উন্নত। কারণ, যৌন প্রজননের মাধ্যমে সৃষ্ট পরবর্তী বংশধরে যেসব বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেগুলো হলো:
১. নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হতে পারে।
২. নতুন বংশধরের উৎপাদন ও অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩. উৎপন্ন উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের উন্মেষ ঘটে।
৪. এরা অধিক সহনশীল এবং অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয়।
৫. সহজেই রোগ-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না।
৬. এদের ফল ও বীজ সুস্থ, সবল ও উন্নত গুণসম্পন্ন হয়ে থাকে।
৭. নতুন বংশধরের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

প্রভাষক, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা