নিজের গাড়ি যদি মনের মতো সাজানো যেত, ভালো হতো নিশ্চয়। অনেক গাড়ি নির্মতা প্রতিষ্ঠান ক্রেতার চাহিদাকে প্রাধান্য দিলেও পুরো গাড়ি নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয় না। তবে ক্রেতাদের চাহিদামতো গাড়ি সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে জিপ ব্র্যান্ড। দেশের বাজারেও ক্রেতারা পছন্দমতো জিপ গাড়ি সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ বছরই দেশে এসেছে জিপগাড়ির জনপ্রিয় মডেল র্যাংলার। তবে নিজের পছন্দমতো দুই এবং চার দরজার জিপ র্যাংলার কিনতে ক্রেতাকে অবশ্যই অগ্রিম ফরমাশ দিতে হবে।
জিপ র্যাংলার আনলিমিটেড গাড়িতে সুয়েভার আনলক সুবিধা থাকায় গাড়িটি উঁচু পাথর বা টিলায় ওঠার সময় এক চাকা মাটিতে রেখে অন্য চাকার শক্তি দিয়ে সহজেই বাধা টপকে যেতে পারে। ২ লিটার আই ফোর ডিওএইচসি ডিআই টার্বো ইঞ্জিনের ৪ সিলিন্ডারবিশিষ্ট ১৬ ভালভের এই গাড়ি ৫২৫০ আরপিএম এ ২৭০ অশ্বশক্তি (এইচপি) এবং ৩০০০ আরপিএম এ ৪০০ নিউটন মিটার (এনএম) টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। গাড়িটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ৪৮৮২,১৮৯৪ এবং ১৮২৮ মিলিমিটার (এমএম)।
জিপ র্যাংলারের দুটি মডেলে বাংলাদেশে পাওয়া যায়। একটি রুবিকন এবং অন্যটি সাহারা। রুবিকন অফ রোডের যানবাহনগুলোর মধ্যে অন্যতম। উঁচু–নিচু বা ভাঙা রাস্তায় অনায়াসে পথ পাড়ি দিতে পারে রেঙ্গলার রুবিকন। সাহারা মূলত বিলাসবহুল গাড়ি। মাটি থেকে রুবিকন এবং সাহারা গাড়ির উচ্চতা ২৪২ এবং ২৫২ মিলিমিটার। রেঙ্গলারে ৫০৮ লিটারের বুট স্পেস (পেছনে পণ্য পরিবহনের জায়গা) রয়েছে। চাইলে দ্বিতীয় সারির আসন সরিয়ে বুট স্পেস ১১৬০ লিটার পর্যন্ত বাড়ানো যায়। র্যাংলারের জ্বালানি ধারণক্ষমতা ৮১ লিটার। পাঁচ আসনের গাড়িগুলোতে আটটি শক্তিশালী স্বয়ংক্রিয় গিয়ার সিস্টেম রয়েছে। গাড়িগুলো ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে পথ চলতে পারে।
রুবিকন এবং সাহারা গাড়ির চাকার আকার যথাক্রমে ১৭ এবং ১৮ ইঞ্চি। গাড়িগুলোর চারটি চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক। গাড়িগুলোতে চালক, সামনের আসনের যাত্রী এবং গাড়ির পাশেও নিরাপত্তার জন্য রয়েছে এয়ারব্যাগ সুবিধা। আরও রয়েছে হিল স্টার্ট অ্যাসিস্ট, হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল, হাইড্রোলিক অ্যাসিস্ট ব্রেক বুস্টার, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল (ইএসসি), ইলেকট্রনিক রোল মিটিগেশন, ট্রেইলার সোয়ে ডাম্পিং, রিমোট কি-লেস প্রবেশ, কি-লেস গো এবং ইঞ্জিন ইমোবোলাইজার সুবিধা।
দেশে রেঙ্গলার আনলিমিটেড সাহারা মডেলের সর্বশেষ প্রযুক্তির গাড়িও পাওয়া যায়। এ গাড়িতে ফাইবারের তৈরি তিন ভাঁজের হার্ড টপ ছাদের পাশাপাশি আরও রয়েছে স্কাই ওয়ান টাচ সানরুফ সুবিধা। ডে টাইম রানিং লাইট (ডিআরএল), দীর্ঘ টেইল লাইট এবং স্বয়ংক্রিয় হেডল্যাম্প রয়েছে গাড়িগুলোতে।
জিপ র্যাংলার রুবিকন মডেলের গাড়ির দাম পড়বে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ গ্রেডে সাহারার মূল্য ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া দুই দরজার জিপ র্যাংলার ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় পাওয়া যায়। গাড়িগুলোতে তিন বছর বা ৫০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সেবা এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত মেরামত সেবা পাওয়া যাবে।