ক্লাসের চরিত্ররা

.
.

স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় হোক; টেকনাফ কিংবা তেঁতুলিয়া হোক; কিছু কমন ছাত্রছাত্রী সব ক্লাসেই আছে। মিলিয়ে নিন আপনার ছাত্রজীবনের সঙ্গে।
আঁতেল ছাত্র/ছাত্রী: স্যার তিন ক্লাস পর কী পড়াবেন সেসবও পড়ে বসে থাকেন তিনি!
আমরা এখনো বই কিনলাম না, আর জয়ের নাকি তিন অধ্যায় পড়া শেষ।
এইটা আর এমন কী! আমি তো কত দিন আগেই রবীন্দ্রনাথের চার অধ্যায় বইটা শেষ করছি!
নির্দিষ্ট সিটের ছাত্র/ছাত্রী: তিনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সিটেই বসবেন। সেটা বেঞ্চের এক কোনায় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটা প্রচলিত হয়ে যাবে যে ‘অমুক সিটটা তমুকের সিট’।
তুই এখানে বসলি ক্যান? এটা আমার সিট!

.
.

এইটা তোর সিট হবে ক্যান! তোর সিট তো আসলে তোর মাথায়!
এলিয়েন ছাত্র/ছাত্রী: তিনি কিছুদিন পরপর হঠাৎ করে উদয় হন এবং রোল কলের সময় পচানি খান।
এত দিন পর কী মনে করে এলেন আপনি? আমাদের দেখতে?
স্যার, আমার দাদি মারা গেছেন।
তোর দাদি আসে নাই কেন, সেটা জানতে চাইনি। তুই আসস নাই কেন, সেটাই বল।
ধুরন্ধর এবং তেলবাজ ছাত্র/ছাত্রী: এরা সাধারণত ক্লাস টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়েন।

.
.

স্যার, আবুল তো পড়া শিখে আসে নাই; বেত নিয়ে আসি?
ফাজিল কোথাকার, জানস না ক্লাসে বেত নিষিদ্ধ!
দরকার হলে স্যার ক্লাসের বাইরেও তো পেটানো যায়! হে হে হে!
লাপাত্তা ছাত্র/ছাত্রী: টিফিন ছুটির পর তাকে ক্লাসে দেখবেন না। তিনি দুই/তিন/চার ঘণ্টা পর ছুটি নিতেও ওস্তাদ।
স্যার, আমার দাদি মারা গেছে। দুই ঘণ্টা পর ছুটি লাগবে।

.
.

কয়েক দিন আগে না দাদি মরছে বলে ছুটি নিলি! এক দাদিকে কয়বার মারস?
ওটা চাচাতো দাদি ছিল। এটা আপন।
শেষ বেঞ্চের ছাত্র: সামনের দিকের সিট খালি থাকলেও এরা শেষ বেঞ্চেই বসবে। লেকচারের সময় তারা ঘুমায়, গুঁতাগুঁতি করে, উল্টাপাল্টা ছবি আঁকে, খাতায় ক্রিকেট খেলে।
ওই, খাতা ঘুরা, এই বলে ওরে আউট করতে হবে।
খাড়া, এই বলে ছক্কা মারতেছি।
আর এই বলে তুই আউট!