গাণিতিক সূত্র যেন ঠিক হয়: প দা র্থ বি জ্ঞা ন

দেলোয়ার হোসেন, প্রভাষক, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা
পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু সঠিকভাবে বুঝে আয়ত্ত করতে পারলে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান সহজ হয়ে যায়। কোনো একটি বিষয়বস্তু পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারলে তা থেকে সহজেই জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। অনুধাবন সঠিক হলে এই অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন ব্যবহার করে প্রয়োগ স্তরের উত্তর প্রদান খুব সহজ হয়। অনুধাবন ও প্রয়োগের দক্ষতা ভালোভাবে অর্জন করতে পারলে উচ্চতর দক্ষতার সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন বা মতামত প্রদান সহজ হয়। তাই পদার্থবিজ্ঞান পড়ার সময় অনুধাবন স্তরটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে এ বছর সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে রচনামূলক (সৃজনশীল) এবং বহুনির্বাচনি দুই ধরনের প্রশ্ন হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন গঠনগতভাবে তিন ধরনের হয়ে থাকে।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সব অধ্যায়েই গাণিতিক সমস্যা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্রগুলো আয়ত্ত করতে হবে। প্রয়োজনীয় সূত্রগুলোর বিভিন্ন প্রতীকের অর্থ বুঝতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শর্তগুলো মাথায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতীকগুলোর সরাসরি মান দেওয়া থাকে না কিন্তু শর্ত থেকে মান পাওয়া যায়। যেমন: একটি বস্তুকে ওপরের দিকে ৩০ মিটার/সে. বেগে নিক্ষেপ করলে সর্বোচ্চ কত উচ্চতায় উঠবে? এখানে শেষ বেগ সরাসরি বলা নেই কিন্তু শর্তে শেষ বেগের মান পাওয়া যাবে। এভাবে প্রতিটি অধ্যায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শর্তগুলো জেনে তা সূত্রে প্রয়োগ করবে।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নের উত্তরে চিত্রের ব্যবহার থাকলে অবশ্যই চিত্র দিতে হবে। প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় একক উল্লেখ করতে হবে। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সূত্র লিখতে হয়। প্রয়োগে সূত্র লিখতে পারা হলো জ্ঞান, সূত্রের প্রতীকের মান চিহ্নিত করতে পারা হলো অনুধাবন এবং সূত্রে মান বসিয়ে হিসাব করতে পারা হলো প্রয়োগ। সূত্রের প্রতীকের প্রদত্ত মান সরাসরি সূত্রে না বসিয়ে ডান পাশে লিখতে হবে। পরে মানগুলো সূত্রে প্রয়োগ করতে হবে।