

সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক বালাম। ২০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন ব্যান্ডের সঙ্গে। গানের বাইরে গাড়ির প্রতি বিশেষ ঝোঁক আছে তাঁর। আজ

অধুনায় থাকছে তাঁর স্টাইল। নিত্যনতুন গাড়ির প্রতি বিশেষ ঝোঁক আছে সংগীতশিল্পী বালামের। কিন্তু চাইলেই তো আর কেনা যায় না। তাতেও ভালোবাসা কমে না। বালামের পছন্দের গাড়ির মধ্যে আছে বিএমডব্লিউ ও অডি। তবে টয়োটার গাড়িও ব্যবহার করেছেন। কয়েক বছর হলো একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির মালিক হয়েছেন বালাম। এটি শুধু তাঁর নিজের নয়, এরই মধ্যে তিন বছর বয়সী ছেলে ফাবিয়ান জাহাঙ্গীরেরও পছন্দের গাড়িতে পরিণত হয়েছে। বাপ-বেটা এই গাড়িতে চড়ে প্রায়ই ঘুরে বেড়ান। বাসায় নিয়মিত ট্রাউজার আর টি-শার্ট পরেন। বাইরে জিনস আর টি-শার্ট। বালাম বলেন, ‘বিয়ে, পারিবারিক কিংবা সামাজিক কিছু অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যে স্যুট পরা হয়। টি-শার্টের মধ্যে এইচএনএমের ভি-নেক টি-শার্ট বেশি পছন্দ। একটু মুটিয়ে গেলে টি-শার্টের বদলে শার্ট পরি। তখন কালো রং বেছে নিই। যে পোশাকটা শরীরের সঙ্গে মানানসই এবং যেটা পরে আরাম অনুভব করি, সেটাই পরতে পছন্দ করি।’ শীতের সময়টাতে হুডিসহ জ্যাকেট পরেন তিনি। হাতঘড়ি ও রোদচশমা ব্যবহার করেন বেশির ভাগ সময়। আর মাথার হ্যাট তাঁর প্রিয়। ছোটবেলায় হলিউডের সিনেমা দেখে হ্যাট পরার প্রতি আগ্রহ জন্মে। একসময় হ্যাট সংগ্রহ করতেন। অনেক দিন পরে এই আয়োজনের ছবি তোলার সময় হ্যাট পরলেন। বললেন, ‘আমাকে কোনো দিন কেউ হ্যাট পরা অবস্থায় দেখেনি। অধুনার জন্য হ্যাট পরে ছবি তুললাম।’ অবসরে সন্তানকে সময় দেন। শোনেন গানও। গান শোনার ক্ষেত্রে আইপ্যাডটাই বেশি ব্যবহার করেন। ছেলেও তখন বাবার সঙ্গে গান শোনে। অ্যাপলের সব গ্যাজেটই তাঁর প্রিয়। এ প্রসঙ্গে বালাম বলেন, ‘অ্যাপলের গ্যাজেটে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।’ বাইরের খাবার খুব একটা পছন্দ না করলেও মাঝেমধ্যে খান। সে ক্ষেত্রে ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানি আর স্টারের চিকেন বিরিয়ানি পছন্দ। মা ও স্ত্রীর হাতের যেকোনো রান্না করা খাবার খুব প্রিয় তাঁর। ফাস্টফুড খুব একটা পছন্দ করেন না তিনি। সাধারণত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয় না বালামের। বেশির ভাগ সময়ই রাত জেগে কাজ করায় দুপুরের পরই ঘুম ভাঙে। তবে কাজ থাকলে সকালে উঠতে হয়। কয়েক বছর ধরে একমাত্র ছেলে ফাবিয়ানের সঙ্গে দুষ্টুমির মধ্য দিয়ে দিনের শুরুটা হয়। তার বয়স তিন বছর। কাজ না থাকলে তার সঙ্গে আড্ডা দিতেই হয়। বাসায় ট্রেডমিলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি থাকলেও ব্যায়াম একেবারেই করা হয় না বালামের। তবে মাঝেমধ্যে যখন শরীরের ওজন বেড়ে যায়, তখন আবার হালকা ব্যায়াম করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছবি তোলার প্রতি বালামের একধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পান, তখনই ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
