জাপানে সেকেন্ডে ৩২ কোটি মেগাবিটের ইন্টারনেট

ইন্টারনেট সংযোগে অনন্য গতি অর্জন করেছেন জাপানের প্রকৌশলীরা। প্রতীকী ছবিপিক্সাবে

মোটামুটি চলনসই গতির ইন্টারনেট পেলেই আমরা সন্তুষ্ট। নির্বিঘ্নে ওয়েব ব্রাউজ করা যাবে, ভিডিও চলার সময় আটকে যাবে না, যখন তখন গতি কমে যাবে না—মোটকথা দরকারের সময় কাজটা ঠিকঠাক করা গেলেই আমাদের অতশত অভিযোগ থাকত না। তবে জাপানের প্রকৌশলীরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ইন্টারনেটের গতির গত বিশ্ব রেকর্ডের প্রায় দ্বিগুণ গতিতে পৌঁছেছেন তাঁরা।

ইন্টারনেট সংযোগের গতির আগের বিশ্ব রেকর্ড ছিল সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবিট। আর জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (এনআইসিটি) প্রকৌশলী দল সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবিট গতিতে পৌঁছেছে। তা-ও ১ হাজার ৮৬৫ মাইল দূর থেকে এই গতি বজায় রাখতে পেরেছে তারা, গতি ওঠানামা করেনি।

ইন্টারনেট গতির হিসাব সচরাচর বিটে করা হয়, বাইটে নয়। এক টেরাবিট সমান ১০০০ গিগাবিট। আর এক হাজার মেগাবিটে এক গিগাবিট হয়। অর্থাৎ এক টেরাবিট সমান ১০ লাখ মেগাবিট। আর জাপানের প্রকৌশলীরা অর্জন করেছেন প্রতি সেকেন্ডে ৩১ কোটি ৯০ লাখ মেগাবিট গতি। এবার আপনার বাসার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের গতির সঙ্গে সেটি তুলনা করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

উদ্ভাবনের জোরেই এমন উচ্চগতি অর্জন করেছেন ওই প্রকৌশলীরা। তাঁরা চার কোরের অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল ব্যবহার করেছেন। সঙ্গে ছিল ফাইবার অ্যাপ্লিফায়ার, যা লম্বা দূরত্বে ইন্টারনেট সংযোগের গতি বাড়ায়।

তা ছাড়া প্রকৌশলীদের দলটি প্রথমবারের মতো ‘এস’, ‘সি’ এবং ‘এল’ ব্যান্ডের সংকেত প্রেরণ (ট্রান্সমিশন) প্রযুক্তির একসঙ্গে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছেন। বেশি দূরত্বে সচরাচর সি ও এল ব্যান্ডের ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এবার এস ব্যান্ডও যুক্ত করা হয় তাতে। আশার কথা হলো, চার কোরের অপটিক্যাল ফাইবার বিদ্যমান যন্ত্রপাতির সঙ্গে ভালোভাবেই কাজ করে। এতে কাজটি সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচও কমে যাবে।

এনআইসিটির প্রকৌশলীরা অবশ্য সেখানেই ক্ষান্ত হননি। আরও বেশি গতি অর্জন করা সম্ভব বলে তাঁদের বিশ্বাস। পাশাপাশি সমুদ্রের দুপ্রান্ত যুক্ত করার মতো দীর্ঘ ট্রান্সমিশন প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে চান তাঁরা।