জীববিজ্ঞান

অধ্যায়-১১
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-১১ থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

# চিত্রটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

.
.


প্রশ্ন:
ক. সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে?
খ. পেরিগাইনাস ফুল বলতে কী বোঝো?
গ. Q অংশটি ব্যবহার করে একটি উভলিঙ্গ ফুল অঙ্কন করো এবং বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো।
ঘ. উদ্ভিদের বংশবিস্তারে Q অংশটির গুরুত্ব বিশে্লষণ করো।
উত্তর: ক. সম্পূর্ণ ফুল: যে ফুলে পঁাচটি অংশ আছে, তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন দুতুরা, জবা ইত্যাদি।
উত্তর: খ. যে ফুলে বৃতি, দল ও পুংস্তবক গর্ভাশয়ের কটিদেশ (কোমর) অর্থাত্ গর্ভাশয়কে ঘিরে অবস্থিত, তাকে পেরিগাইনাস ফুল বলে। পেরিগাইনাস ফুলের পুষ্পাক্ষ পেয়ালাকৃতির হয় এবং গর্ভাশয় পেয়ালার খঁাজের মধ্যে থাকে। যেমন: গোলাপ।
উত্তর: গ. Q অংশটি ব্যবহার করে একটি উভলিঙ্গ ফুলের চিত্র ও এর বিভিন্ন অংশ:

.
.


উত্তর: ঘ. Q অংশটি ফুলের স্ত্রীকেশর। উদ্ভিদের বংশবিস্তারে স্ত্রী কেশর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পুংকেশর থেকে পুংজনন কোষ এবং স্ত্রীকেশর থেকে স্ত্রীজনন কোষ তৈরি হয়। পুংজনন কোষ ও স্ত্রীজনন কোষের মিলনকে নিষেক বলে। নিষেকের সময় গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত পরাগরেণু থেকে পরাগনালি বের হয়ে তা গর্ভদণ্ড হয়ে গর্ভাশয়ের ডিম্বকে পঁেৌছে। পুংজনন কোষ ও স্ত্রীজনন কোষ উভয়ের ক্রোমোসোম সংখ্যা হ্যাপ্লয়েড অর্থাত্ দেহকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা অর্ধেক। সুতরাং এদের মিলনে যে জাইগোটের সৃষ্টি হয়, তা ডিপ্লয়েড। নিষিক্ত হওয়ার পর ফুলের গর্ভাশয়টি সাধারণত ফলে এবং ডিম্বকটি বীজে পরিণত হয়। স্ত্রীকেশর না থাকলে নিষেক সক্রিয়া সম্পন্ন হতো না। আর নিষেক না হলে কোনো ফল ও বীজ তৈরি হতো না। স্ত্রীকেশরের গর্ভাশয়ের ভেতরে সংঘটিত নিষেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ফল ও বীজ উত্পন্ন হয়। ফল ও বীজ বিভিন্নভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে উদ্ভিদ বংশবিস্তার করে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে উদ্ভিদের বংশবিস্তারে Q অংশটি (স্ত্রীকেশর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক
রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা