জে এস সি প রী ক্ষা: বি শে ষ ম ডে ল টে ষ্ট-২

পূর্ণমান-৬০, সময়-২ ঘণ্টা
(বি.দ্র. উদ্দীপকগুলো পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও। উত্তর সৃজনশীল পদ্ধতির রীতি-নীতি অনুসারে হওয়া বাঞ্ছনীয়। একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণ দুষণীয়। প্রতি বিভাগ থেকে দুটি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও।)
 মডেল টেস্টটি তৈরি করেছেন মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
ক-বিভাগ (গদ্য)
যেকোনো ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও ২১০ = ২০
১। মিথ্যা খুনের মামলায় আসামি হয়ে ঘরছাড়া আম্বিয়ার স্বামী আজগর আলী। দিন যায়, মাস যায়, বছর পেরিয়ে যায়। আজগরের খোঁজ পাওয়া যায় না। সংসারের বোঝা আর স্বামী হারানোর শোকে বিধ্বস্ত আম্বিয়া একদিন সুই-সুতা হাতে তুলে নিল। দীঘল সুতার মায়াবি অক্ষরে তার সুখ-দুঃখের জীবনালেখ্য তুলে ধরতে শুরু করল প্রতীকীভাবে। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে আম্বিয়া তার জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ইতিকথা ফুটিয়ে তুলল সে সুতার ক্যানভাসে। শিল্পকর্মটি এত জনপ্রিয়তা পেল যে সেটার দ্বারা আম্বিয়া তার ভাগ্যের চাকাই ঘুরিয়ে দিল।
ক. হাতে তৈরি সুতা থেকে কোন জাতীয় কাপড় তৈরি হয়? ১
খ. ভৌগোলিক অবস্থান লোকশিল্পের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে বর্ণনা করো। ২
গ. উদ্দীপকে আম্বিয়া যে লোকশিল্পটি তৈরি করেছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. আম্বিয়ার লোকশিল্পটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের একটি দিককেই তুলে ধরে মাত্র—মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো। ৪
২। দৈনিক প্রথম আলোর খবর ‘রংপুরের মিঠামইনে সোনার মোহর নিয়ে শ্রমিক উধাও। ঘটনায় প্রকাশ, স্থানীয় দেবাশীষ চক্রবর্তী তাঁর পুরোনো পুকুরটি সংস্কার করতে কিছু শ্রমিককে কাজ দেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা পুকুরটি খনন করছিলেন। হঠাৎ একদিন পুকুরের নিচ থেকে একটি মাটির কলসি বের হয়। যার মধ্যে ছিল প্রচুর সোনার মোহর। শ্রমিকেরা এ ঘটনা মালিককে না জানিয়ে নিজেরা ভাগাভাগি করে মোহরগুলো নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে দেবাশীষ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেন এবং শ্রমিকদের ধরে এনে মোহরগুলো উদ্ধারে সাহায্য করেন।’
ক. বিভূতিভূষণের মায়ের নাম কী? ১
খ. ‘বাবার মুখ দিয়ে একটি কথাও বেরোল না’—কেন?’ ২
গ. উদ্দীপকের শ্রমিকদের কর্মকাণ্ড ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ—ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের দেবাশীষ চক্রবর্তীকে লেখক বা বাদলের প্রতিরূপ বলা যায় কি না, বিশ্লেষণ করো। ৪
৩। প্রচুর ধন-সম্পদ ও অর্থ-বিত্তের মালিক আবুল মোল্লার সাত পুত্র এককথায় কিছুই করে না। বাবার হোটেলে খায় আর তাইরে-নাইরে করে ঘুরে বেড়ায়। বন্ধু, আড্ডা, গান—এই তাদের প্রাণ। বাবার ধন-সম্পদ অন্য লোকেরা লুটপাট করে খায় সেদিকেও তাদের খেয়াল নেই। দুশ্চিন্তায় মোল্লা সাহেবের ঘুম হয় না। অবশেষে একদিন মোল্লা তাঁর গোঁফে খেজুরে পুত্রদের শিক্ষা দিতে এক চিরকুট লিখে লাপাত্তা হলেন। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘বাবারা, আমার জমির নিচে সোনা আছে। তোমরা সে সোনা তুলে নিয়ো।’ ছেলেরা বাবার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জমি খনন করতে লাগল। কিন্তু কিছুই পেল না। এক প্রবীণ ব্যক্তি ছেলেদের এ কাণ্ড দেখে বললেন, ‘আরে বোকা, জমি চাষাবাদ করো, তাহলেই সোনা পাওয়া যাবে।’ অবশেষে তাদের বোধোদয় হলো।
ক. ‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?১
খ. বাংলাকে সর্ব ঐশী শক্তির পীঠস্থান বলা হয়েছে কেন? ২
গ. মোল্লা সাহেবের পুত্রদের মধ্যে ‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মোল্লা সাহেবের পুত্রদের বোধোদয়ের মতো বাঙালির বোধোদয়ের জন্য কাজী নজরুলের পরামর্শ কী—‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪
খ-বিভাগ (পদ্য)
যেকোনো ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও ২১০ = ২০
৪। ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট মেসিডোনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী মাদার তেরেসা। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে নিঃস্বার্থভাবে দরিদ্র, অসুস্থ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। কোলকাতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৯ সালে তিনি মানবিক সেবাকার্যের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেন। ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এই মহিয়সী নারী মৃত্যুবরণ করেন।
ক. ‘নারী’ কবিতাটি কোথা থেকে সংকলিত হয়েছে? ১
খ. নারীর অবদান সে যুগে ইতিহাসে লেখা হয়নি কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘নারী’ কবিতার কোন্ দিকটিকে প্রতিফলিত করে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘মাদার তেরেসাই কাজী নজরুল ইসলামের কাঙ্ক্ষিত নারী’- ‘নারী’ কবিতা অবলম্বনে মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪
৫। তোমার যেখানে সাধ চলে যাও—আমি এই বাংলার পারে
রয়ে যাব; দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে;
দেখিব খয়েরি ডানা শালিকের সন্ধ্যায় হিম হয়ে আসে,
ধবল রোমের নিচে তাহার হলুদ ঠ্যাং ঘাসে অন্ধকারে
নেচে চলে—একবার-দুইবার-তারপর হঠাৎ তাহারে
বনের হিজলগাছ ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হূদয়ের পাশে।
ক. ‘কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়’ এর পরের চরণটি লেখো। ১
খ. কবি জীবনানন্দ দাশ শঙ্খচিল, শালিকের বেশে আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার যে ভাব প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উপাদানগত পার্থক্য থাকলেও ‘উদ্দীপকটি ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার প্রতিপাদ্য বিষয় প্রকাশে সক্ষম—মন্তব্যটির সঙ্গে তুমি কি একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৬। উদ্দীপক-১
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে/স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসি মুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ/সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
উদ্দীপক-২
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজিকে/রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে।
সংগ্রামী আজ মহা জনতা/কণ্ঠে তাদের নব বারতা,
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে।
ক. ‘একুশের গান’ কবিতার রচয়িতা কে? ১
খ. ‘জাগো নাগিনীরা, জাগো কাল বোশেখীরা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপক-১ ‘একুশের গান’ কবিতার কোন ভাবের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, ব্যাখ্যা করো? ৩
ঘ. উদ্দীপক-১ ও ২-এ প্রকাশিত চেতনা ‘একুশের গান’ কবিতার মূল চেতনার সমান্তরাল নয়—এ কথার সঙ্গে তুমি কি একমত? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪


 এই মডেল টেস্টের বাকি অংশ (গ বিভাগ) ছাপা হবে আগামীকাল