নতুন ধারা তৈরি করছে যেসব প্রযুক্তি
প্রতিনিয়তই পাল্টাচ্ছে প্রযুক্তিধারা। মূলত বাজারে আসা নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্য বদলে দিচ্ছে এই ধারা। যেসব প্রযুক্তি চলতি বছরে ধারা বদলে দিচ্ছে, সেসবের তথ্য থাকছে এখানে।
ইন্টারনেট অব থিংস
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু গুগল, অ্যাপল, অ্যামাজনের দিকে চোখ রাখলেই হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো একে অন্যের সঙ্গে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়েছে আইওটির একচেটিয়া বাজার ধরার জন্য। তাই হালনাগাদ প্রযুক্তিপণ্য বাজারে ছাড়ছে স্মার্ট হোমের। আইওটির ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করা যাক—ধরুন, আপনি বিছনায় শুয়ে আছেন, উঠতে মন চাইছে না। কিন্তু বাতি নেভাতে হবে। অ্যাপে চাপ দিয়েই বাতিটা নিভিয়ে দিলেন। এটাই হলো স্মার্ট বাড়ির ধরন। হতে পারে, কণ্ঠস্বর দিয়েও বাড়িতে থাকা কোনো যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা। স্মার্ট বাড়ির যে প্রযুক্তি, তা হচ্ছে ইন্টারনেট অব থিংসের উদাহরণ। এসব প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপনকে সহজ করে তুলবে। বাংলাদেশেও দিন দিন এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। তবে ব্যবসাক্ষেত্রে এর ব্যবহার আরও অধিক হারে বাড়বে। গ্রাহককে দ্রুত সময়ে আরও মানসম্মত সেবা দেওয়ার জন্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই এখন চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই এর ব্যবহার বাড়বে। যেমন ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ড্রোনের মাধ্যমে তাদের পণ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? এই বছরের অন্যতম আলোচিত বিষয়ও এটি। এ নিয়ে তো ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক যুদ্ধ বাধিয়েছিলেন। তারা যে যা-ই বলুক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রতি ঝুঁকছে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি
প্রযুক্তি দুনিয়ায় ২০১৬ সালের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি। এরই ধারাবাহিকতায় অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর বর্তমান প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত বিষয়। বাস্তব বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে ভার্চ্যুয়াল অভিজ্ঞতা তৈরির প্রযুক্তিকেই অগমেন্টেড রিয়েলিটি বলা হয়। আর এই প্রযুক্তি নিয়েই বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গবেষণা চালাচ্ছে। এআর গবেষণায় মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল ও গুগলও চলতি বছরে তাদের অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম, যা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
সূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস