
অধ্যায়-৪
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৪ থেকে প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।
# সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন: (প্রতিটির নম্বর ১)
প্রশ্ন: বায়ুর চারটি উপাদানের নাম লেখো।
উত্তর: বায়ুর চারটি উপাদান হলো: অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয়বাষ্প।
প্রশ্ন: এসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর: কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া কয়লা পোড়ানোর ফলে এতে মিশে থাকা সালফার পুড়ে বায়ুতে সালফারের অক্সাইড উৎপন্ন হয়। সালফারের অক্সাইড বৃষ্টির পানিতে মিশে বৃষ্টির পানিকে এসিডযুক্ত করে, এই এসিডযুক্ত বৃষ্টিকেই এসিড বৃষ্টি বলা হয়। এসিডযুক্ত বৃষ্টি সব জীবের জন্য ক্ষতিকর।
প্রশ্ন: রান্নাঘরে বায়ুদূষণ কমানো যায় কীভাবে?
উত্তর: রান্নাঘরে উন্নত চুলা ব্যবহার করে এবং বায়ু চলাচলের ভালো ব্যবস্থা করে রান্নাঘরে বায়ুদূষণ কমানো যায়।
প্রশ্ন: ইটের ভাটার দূষণের প্রভাব কীভাবে কমানো যায়?
উত্তর: ইটের ভাটা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করে, কয়লা কাঠের পরিবর্তে কম জ্বালানি ব্যবহার হয়, এমন উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ইটের ভাটার দূষণের প্রভাব কমানো যায়।
প্রশ্ন: কোথায় কোথায় বায়ু আছে?
উত্তর: আমাদের চারদিকেই বায়ু আছে। ভূপৃষ্ঠের মাটিকণার ফাঁকে ফাঁকে বায়ু রয়েছে। পানিতেও বায়ু মিশে আছে। এক কথায় পৃথিবীর সর্বত্রই বায়ু আছে।
প্রশ্ন: বায়ুমণ্ডল কী?
উত্তর: আমাদেরকে চারদিকে থেকে ঘিরে আছে বায়ু। বায়ুর এ আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন: মাছ কীভাবে পানিতে বেঁচে থাকে?
উত্তর: পানিতে যে বায়ু মিশে আছে, সেই বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে মাছ পানিতে বেঁচে থাকে।
প্রশ্ন: বায়ুদূষণ কী?
উত্তর: বিভিন্নভাবে বায়ুতে নানা ক্ষতিকর কিছু যোগ হতে পারে। আবার বিভিন্ন কারণে বায়ুর উপাদানগুলোর পরিমাণ কমে বা বেড়ে যেতে পারে। বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন হলে আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে বায়ুদূষণ বলে।
# রচনামূলক প্রশ্নোত্তর: (প্রতিটির নম্বর ৫)
প্রশ্ন: বায়ুপ্রবাহকে আমরা কী কী কাজে ব্যবহার করতে পারি?
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক প্রবাহকে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। যেমন:
১. বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে আমরা পালতোলা নৌকা চালাতে পারি।
২. বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে আমরা বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি।
৩. কাপড়চোপড় শুকাতে বায়ুপ্রবাহ কাজে লাগে।
৪. চুল শুকানোর যন্ত্রে বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে চুল শুকানো যায়।
৫. বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে আমরা ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করতে পারি।
৬. প্রচণ্ড গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে হাতপাখা ও বৈদ্যুতিক পাখার বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করতে পারি।
প্রশ্ন: রান্নাঘরে বায়দূষণ কমানো যায় কীভাবে?
উত্তর: রান্নাঘরে রান্নার চুলায় প্রাকৃতিক গ্যাস বা কাঠ পোড়ানোর সময় পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে তা ভালোভাবে পোড়ে না, ফলে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বায়দূষণ ঘটে। তাই রান্নাঘরে বায়ুদূষণ কমানোর জন্য নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে।
১. বায়ু চলাচলের জন্য ভালো ব্যবস্থা তৈরি করা।
২. উন্নত চুলা ব্যবহার করা।
৩. কাঠ পোড়ানোর আগে ভালোভাবে কাঠ শুকিয়ে নেওয়া অথবা কাঠ পোড়ানোর হার কমিয়ে ফেলা।
৪. প্রাকৃতিক গ্যাসের অপব্যবহার রোধ করা।
৫. প্রয়োজন ছাড়া রান্নার চুলা জ্বালিয়ে না রাখা।
প্রধান শিক্ষক, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল