প্রা থ মি ক বি জ্ঞা ন

অধ্যায়- ৫ 
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৫ থেকে প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

# সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো।
প্রশ্ন: কঠিন দশায় পদার্থের পরমাণুগুলো কীভাবে সাজানো থাকে?
ক. এলোমেলোভাবে
খ. নির্দিষ্ট অবস্থানে সাজানো থাকে
গ. বন্ধন শিথিল হয় ঘ. কোনো বন্ধন থাকে না
উত্তর: খ. নির্দিষ্ট অবস্থানে সাজানো থাকে
প্রশ্ন: বিদ্যুৎ চমকানোর পেছনে কোন শক্তি কাজ করে?
ক. আলোক শক্তি খ. তাপশক্তি
গ. শব্দশক্তি ঘ. তড়িৎশক্তি
উত্তর: ঘ. তড়িৎশক্তি
প্রশ্ন: মোমবাতি কোন ধরনের শক্তি?
ক. তাপশক্তি খ. আলোক শক্তি
গ. বিদ্যুৎশক্তি ঘ. পেশিশক্তি
উত্তর: খ. আলোক শক্তি

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন: প্রতিটির নম্বর ১
প্রশ্ন: পদার্থের দশা পরিবর্তনের কারণ কী?
উত্তর: পদার্থ কঠিন, তরল না গ্যাসীয় অবস্থায় থাকবে, এটা নির্ভর করে পদার্থের পরমাণুগুলো কীভাবে সাজানো থাকবে এবং এদের বন্ধনের দৃঢ়তার ওপর। আর তাপমাত্রার প্রভাবে এই বন্ধন ও সাজানো তারতম্য হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, পদার্থের দশা পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে তাপমাত্রা।
প্রশ্ন: পদার্থ কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর: পদার্থ ক্ষুদ্র বস্তু কণিকা দিয়ে তৈরি। এই ক্ষুদ্রতম কণিকা আর ভাঙা যায় না, আমরা একে বলি পরমাণু। সব পদার্থ এই পরমাণু দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন: পাঁচ রকম শক্তির নাম লেখো।
উত্তর: ১। শব্দশক্তি ২। আলোক শক্তি
৩। বিদ্যুৎশক্তি ৪। তাপশক্তি ৫। পেশিশক্তি।
প্রশ্ন: পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি, এ কথা কোন বিজ্ঞানী বলেন?
উত্তর: ‘পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি’ এ কথা বলেন বিজ্ঞানী ডালটন।
প্রশ্ন: পদার্থ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যার ওজন আছে, জায়গা দখল করে, বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে, তাকে পদার্থ বলে। যেমন মাটি, পানি, পাথর, কাঠ, লোহা ইত্যাদি পদার্থের উদাহরণ।
প্রশ্ন: পদার্থের দশা কয়টি ও কী কী?
উত্তর: পদার্থের দশা তিনটি। যথা—
কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
প্রশ্ন: কঠিন পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে।
প্রশ্ন: তরল পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: তরল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই।
প্রশ্ন: বায়বীয় পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আকার বা আয়তন নেই।
প্রশ্ন: তাপের প্রধান উৎস কী?
উত্তর: তাপের প্রধান উৎস হলো সূর্য।
প্রশ্ন: তাপের পরিবহন পদ্ধতি বলতে কী বোঝো?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে কোনো বস্তুর উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে তাপ সঞ্চারিত হয় অথচ পদার্থের অণুগুলোর কোনো স্থান পরিবর্তন হয় না, তাকে তাপের পরিবহন পদ্ধতি বলে।
প্রশ্ন: তাপের পরিচলন পদ্ধতি বলতে কী বোঝো?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে কোনো পদার্থের উত্তপ্ত কণাগুলো নিজেরাই স্থান পরিবর্তন করে উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে তাপ বয়ে নিয়ে যায়, তাকে পরিচলন পদ্ধতি বলে।
প্রশ্ন: তাপের বিকিরণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝো?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো জড় মাধ্যমের সাহায্য ছাড়া বা মাধ্যম থাকলে তাকে উত্তপ্ত না করে উষ্ণতর বস্তু থেকে শীতলতর বস্তুতে সঞ্চারিত হয়, তাকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে।
প্রশ্ন: সৌর বিদ্যুৎ কী?
উত্তর: সূর্যের আলোর সাহায্যে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়, তাকে সৌর বিদ্যুৎ বলে।
প্রশ্ন: শক্তির অপচয় কাকে বলে?
উত্তর: শক্তির যথাযথ প্রয়োগ না করে অকারণে শক্তি নষ্ট করাকে শক্তির অপচয় বলে।
প্রশ্ন: পদার্থের সাধারণ গুণ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: পদার্থের সাধারণ গুণ বা বৈশিষ্ট্য দুটি—
১. পদার্থ স্থান বা জায়গা দখল করে।
২. পদার্থের ওজন আছে।
প্রশ্ন: গঠন অনুসারে পদার্থ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: গঠন অনুসারে পদার্থ দুই প্রকার। যথা:
(১) মৌলিক পদার্থ
(২) যৌগিক পদার্থ।

প্রধান শিক্ষক, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা

পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল