
সেমিওনভ ফ্রান্সে এসে পৌঁছালেন একটি মাত্র বাক্য সম্বল করে: ‘পার্লে ভু ফ্রঁসে?’ যেটার অর্থ, ‘আপনি ফরাসি ভাষায় কথা বলেন?’
প্রথম ফরাসি ব্যক্তি, যাঁকে তিনি প্রশ্নটা করলেন, চলা থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। কী বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে, মিনিট খানেক ভেবেও স্থির করতে না পরে সেমিওনভ আবার উচ্চারণ করলেন তাঁর সবেধন নীলমণি বাক্য: ‘পার্লে ভু ফ্রঁসে?
’ সাবলীল সংলাপের সব উপকরণই ছিল, সেমিওনভ ফরাসির দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসেছেন, উত্তরে তাঁকেও হাসি উপহার দিয়েছেন ফরাসি ব্যক্তিটি। আর তাই কথা চালিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়ে সেমিওনভ ঠিক যেন প্রাসঙ্গিকভাবে আবার বললেন, ‘পার্লে ভু ফ্রঁসে?’
‘শেপ্রখেন যি ডয়েশ?’, কেন জানি জার্মান ভাষায় আচমকা প্রশ্ন করলেন ফরাসি, যদিও কথা হচ্ছিল ফরাসি ভাষায়। তবে সেমিওনভ জার্মানে কথা বললেন না। হাজার হোক, তাঁরা তো ফ্রান্সে। তিনি তাই ফিরে গেলেন ফরাসি ভাষায়। এবার ফরাসি ব্যক্তিটি জানতে চাইলেন, ‘স্পিক ইংলিশ?’ কিন্তু সেমিওনভ ইংরেজিতে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেন। তাঁদের কথোপকথনের সমাপ্তি ঘটল এখানেই।
অন্য ফরাসিদের আচরণও ছিল ঠিক এ রকমই—সেমিওনভের কথা কিছুক্ষণ শুনে তাঁরা কথা বলতে শুরু করেছেন অন্য কোনো ভাষায়, তারপর আরেক ভাষায়... ‘ফরাসিরা চমৎকার মানুষ,’ দেশে ফিরে সেমিওনভ গল্প করলেন সবাইকে। ‘ভারি ভদ্র ও মিশুক তারা। তবে ফরাসি জাতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী, জানেন? তারা ফরাসি ভাষায় একেবারেই কথা বলতে চায় না।’