ফুলের মতো ফুলকপি

ফুলের মতো ফুলকপি
ফুলের মতো ফুলকপি

সবজির বাজার এখন ভরে গেছে ফুলকপিতে। দেখতে যেমন সুন্দর। খেতেও অনন্য। কতভাবেই না খাওয়া যায় এই সবজিটি। কেউ খায় ভেজে, কেউ বা খায় ঝোলে। আলুর চপের মতো ফুলকপির চপও ফেরি করেন দোকানিরা। ফুলকপির কত পদের যে রেসিপি আছে, তা রন্ধনশিল্পীরাই ভালো বলতে পারবেন। এই তত্ত্বকথা না হয় তাঁদের জন্যই তোলা থাক। স্বাদের এই সবজিটির এবার গুণ বিচার করা যাক।
এমন কী আছে এতে, যার জন্য বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন এটি খেতে? জানলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আলেয়া মাওলার কাছে। তিনি জানান, ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়। ফরমালিন মেশানোর শঙ্কায় খোলা বাজার থেকে অনেকেই সবজি কিনতে দ্বিধা বোধ করেন। তার সমাধানও দিলেন আলেয়া মাওলা। তিনি আরও জানান, ফুলকপির পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের পরিমাণ কম, তাই ভালো করে সবজিটি ধুলেও ভিটামিনের অপচয় হয় না। ফরমালিন হলো পানিতে দ্রবণীয়, তাই ফুলকপি রান্না করার আগে এক থেকে দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
 ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইডের অভাবে দাঁতের মাড়ি দুর্বল হয়ে যায়। এসব উপাদান বেশি পরিমাণে আছে ফুলকপিতে। ফলে দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য ফুলকপি খেতে হবে।
 এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।
 ফুলকপিতে আমিষের পরিমাণও বেশি। তাই আমিষের অভাব দূর করতে এটি খেতে পারেন। এ ছাড়া কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই সবজি খেলে উপকৃত হবেন।
 স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে এই ফুলকপির।
 কোলেস্টেরলমুক্ত ফুলকপি তাই দেহের বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্যও প্রয়োজন।