বাংলা হাতের লেখাকে ছাপার অক্ষরে রূপান্তর করে বিজয়ী অভিযাত্রিক

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরাছবি : সংগৃহীত

বাংলা হাতের লেখাকে ছাপার অক্ষরে রূপান্তরের প্রকল্প তৈরি করে ‘বাংলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অভিযাত্রিক দল। ১ লাখ টাকা পুরস্কারও পেয়েছে তারা।
‘এনএলপি বাংলা টুলকিট’ প্রকল্প তৈরি করে দ্বিতীয় হয়েছে সাস্ট ড্রিমারস। তারা পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনফারেন্স ডেটা সেট’ এবং ‘রসিদে লিখিত বাংলা হাতের লেখা রিডিং’ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে বুয়েট অনুমিতি ও ইন্টেলিজেন্ট মেশিনস লিমিটেড। দুটি দলই ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার পেয়েছে।
বাংলা ভাষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি ও বাংলা এনএলপি (ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং) গবেষণায় উৎসাহ দিতে ‘বাংলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিযোগিতায় দেশের তরুণ গবেষক ও নির্মাতাদের ১৬১টি উদ্ভাবনী প্রকল্প জমা পড়ে। লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে বিচারক প্যানেল শীর্ষ ১০ প্রকল্প নির্বাচন করেন। সেরা দশে থাকা অন্য দলগুলো হলো এক্সএমএল ইন্ডিক (ভারতীয় ভাষাগুলোর মডেলিং), বিয়ন্ড দ্য হিলস (বাংলাদেশের ক্ষ্রদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর জন্য অনুবাদ টুলস তৈরি), একুশ (বাংলা হাতের লেখা ডেটা সেট), ড্যাব (বাংলা অথরশিপ অ্যাট্রিবিউশন), রক্তিম (বাংলা এনইআর ডেটা সেট) এবং ইনোভেশন গ্যারেজ (দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ডক-রিডার)। শীর্ষ দশে স্থান পাওয়ায় এই দলগুলো সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘বাংলা ভাষা নিয়ে সারা বিশ্বে আজ গবেষণা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে সারা বিশ্বের কাছে যারা তুলে ধরছে, তারাই আজকের বাংলা ভাষার যোদ্ধা। তরুণেরা যত বেশি বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করবে, ততই আমাদের মাতৃভাষা বিশ্বদরবারে এগিয়ে যাবে। এ প্রতিযোগিতা বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষক তৈরি করতে সাহায্য করবে। গবেষণা করতে যা যা দরকার, তা যেন আমরা তরুণদের দিতে পারি। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তরুণেরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বেশ আগ্রহী হয়েছে। যে তরুণেরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করে, তাদের পুরস্কার দিয়ে উৎসাহ দিতে হবে। প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বিসিসির পরিচালক (গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়ন) এহছানুল পারভেজ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নাবিল মুহাম্মদ প্রমুখ।